আজ আপনাদেরকে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবো-

  • ১ নাম্বার হচ্ছেঃ শবে বরাত নামাজ কয় রাকাত?
  • ২ নাম্বার হচ্ছেঃ শবে বরাত নামাজের নিয়ত 
  • ৩ নাম্বার হচ্ছেঃ কোন কোন সূরা দিয়ে শবে বরাত পড়তে হবে।
  • ৪ নাম্বার হচ্ছেঃ অনেক প্রশ্ন করে থাকেন শবে বরাতের রোজা কয়টি?

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

আসুন এই প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিই। শুরুতে আমি নামাজের নিয়ত নিয়ে আলোচনা করছি।

আপনি শবে বরাতের নামাজে যখন দাঁড়াবেন , তখন আপনি বাংলাতে নিয়ত করে নিতে পারেন এভাবে- ( আমি শবে বরাতের নফল নামাজ দুই রাকাত করে আদায় করছি আল্লাহু আকবার বলে) আপনি নামাজ শুরু করতে পারেন। যদি আপনি আরবীতে পড়তে চান আরবিতে ও পড়ে নিতে পারেন। মনে রাখবেন নিয়ত কিন্তু মনে মনে বললেই কিন্তু হয়ে যায়। কিন্তু ফতোয়ায় আলমগীরী তে রয়েছে যদি কেউ উচ্চারণ করতে চায় তাহলে কোন সমস্যা নেই ,এটা মুস্তাহাব।

আমি আরবিতে একটু বলে দিচ্ছি- (নাওয়হিয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তালা রাকাতাই সালাতিল লাইলাতিল বারাতি মুতাওয়জ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার) বলে আপনি নামাজ শুরু করবেন।

শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত?

শবে বরাতের নামাজ দুই দুই রাকাত করে আপনি যত রাকাত পড়তে পারেন। মাগরিবের পর থেকে নিয়ে একদম ফজর পর্যন্ত আপনি যত খুশি রাকাত পড়তে পারেন, আল্লাহ পাক বলেছেন আমি দুনিয়ার আকাশে এসে মানুষকে বলতে থাকি- কে আছো আমার কাছে আজকে ক্ষমা চাইবে আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিব। কে আছো রিজিক চাবে? কে আছো আজকে যা চাইবে আমি তোমাদেরকে তাই দিব সুবহানাল্লাহ।

এজন্য আসুন আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য আমরা বেশি বেশি করে নামাজ আদায় করে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করি। জিকির-আজকার করি তওবা-ইস্তেগফার একটু বেশি বেশি করে পড়ি। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এইগুলোর বদৌলতে হয়তো আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।

আসুন আমরা জেনে নিই কোন সূরা দিয়ে আমরা শবে বরাতের নামাজ আদায় করব?)

শবে বরাতের নামাজ আপনি যে সূরা পারেন সেই সূরা দিয়েই পড়তে পারেন। সূরা ফাতিহার সাথে আপনার যে সূরা হৃদয়াঙ্গম করা আছে মনে আছে বা আপনি জানেন সেই সূরা দিয়েই পড়বেন। তবে সূরা ফাতিহার পরে আপনি অন্য একটা সূরার পরে যদি আপনি সূরা এখলাছ মিলিত করেন। ৩ বার ৫ বার ৭ বার এভাবে যতবার মিলিত করতে পারেন এটা উত্তম কারণ সূরা এখলাছ কে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন ভালবাসেন সুবহানাল্লাহ।

শবে বরাতের রোজা কয়টা রাখবেন?

রোজা নিয়ে যে কথা বলতে হয়- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম শাবান মাসে পুরো মাস রোজা রাখতেন। শবে বরাতে একটা রোজা রাখার কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে, অর্থাৎ আপনি যে রাতে এবাদত বন্দি করবেন তার পরের দিন আপনি সারাদিন রোজা রাখবেন। কেউ কেউ বলেন তিন দিন রোজা রাখা যাবে কি না? হ্যাঁ অবশ্যই কোন সমস্যা নেই। আপনি তিন দিনও রোজা রাখতে পারেন কারণ আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাঃ সাবান মাসে অনেক রোজা রাখতেন।

আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে শবে বরাতের বেশি বেশি করে আমল করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ পাক আমাদেরকে ক্ষমা করুন আমিন। আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু।

আরো দেখুন:

Google News