আসসালামু আলাইকুম ,

আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আয়াতুল কুরসি সম্পর্কে আলোচনা করব, এর ফজিলত থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাছাইকৃত ফজিলত আজকে আপনাদেরকে জানাবো। এ আয়াতের অনেক ফজিলত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,  মুসনাদে আহমদে এসেছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) এই আয়াতকে সর্বপেক্ষা উত্তম আয়াত বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্য এক হাদীসে এসেছে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন কোরআনুল কারীমের ভিতরে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্য এর দিকে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ আয়াত কোনটি? তখন উবাই ইবনে কাব উত্তর দিলেন আয়াতুল কুরসি) হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অভিবাদন জানালেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন ,দিয়ে বললেন তুমি যথার্থই উত্তর দিয়েছো।

নাসায়ী শরীফের এক বর্ণনায় এসেছে হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পড়বে , অর্থাৎ ফরজ নামাজ শেষ করে আয়াতুল কুরসি একবার পড়বে, প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে একবার করে আয়াতুল কুরসি পড়বে তার জান্নাতে যাওয়ার পথে শুধুমাত্র মৃত্যুই বাকি থাকে। অর্থাৎ সে মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতবাসি হবে আলহামদুলিল্লাহ, কত বড় তাৎপর্যপূর্ণ একটি আয়াত। এই আমলটি আমরা আজকে থেকেই করব , যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কন্টিনিউ পড়ি ,তারা এই আমলটি করতে আর বাধা হবে না।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , সূরা বাকারার মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যে আয়াতটি পুরো কোরআনের নেতা শুরুপ তা পড়ে ঘরে প্রবেশ করলে শয়তান বের হয়ে যায় , তা হল আয়াতুল কুরসি। যে ঘরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান এক মাস পর্যন্ত এবং যাদুকর ৪০ দিন পর্যন্ত দূরে সরে পড়ে।

আমরা যারা আয়াতুল কুরসি সহি শুদ্ধভাবে পড়তে জানি না, তাদের জন্য, উচ্চারণ ও অনুবাদ।

اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ 

يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيم 

বাংলা অনুবাদ: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম। 

চলুন এবার এক নজরে নিচে বাংলা অর্থ জেনে নেওয়া যাক:)

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। [২:২৫৫]

আরো দেখুন:

Google News