একজন মানুষের জীবনের সকল কার্যক্রমের সাথে বাজারজাতকরণ  প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হয়ে আছে। একটি পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পৌছানো পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বাজারজাতকরণের আওতাভুক্ত। অনেকেই শুধু পণ্য বিক্রয় করাকে বাজারজাতকরণ মনে করে থাকে। কিন্তু বাজারজাতকরণের কার্যক্রম আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে বিদ্যমান রয়েছে। আরও দেখুনঃ আজকের বাজার দর

বাজারজাতকরণ কাকে বলে

সাধারণ অর্থে বাজারজাতকরণ বলতে আমরা পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করাকে বুঝে থাকি। কিন্তু বাজারজাতকরণের পরিধি আরও বিস্তৃত। পণ্য উৎপাদনের পর তা ভোক্তার নিকট পৌছে দেওয়া ও পণ্যটি ভোগ বা ব্যবহারের পর ভোক্তা কি প্রতিক্রিয়া দেখায় তা নির্ণয় করাও বাজারজাতকরণের কাজ। 

আমরা যারা ব্যবসায় বিষয়ক বিষয়ে পড়াশুনা করছি অথবা বিক্রয় ও বিপণন জগতে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক তাদের জন্য বাজারজাতকরণ ও এর কার্যক্রম, পরিধি,ও শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান থাকা খুবই প্রয়োজন। তাই আমরা আজ এই আরটিকেলে বাজারজাতকরণ কি ও এর আওতা, গুরুত্ব এবং কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করব। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আপনারা বাজারজাতকরণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আরও দেখুনঃ সমিতির নিয়ম কানুন | সমিতির নিয়মাবলী

বাজারজাতকরণ কাকে বলে

ভোক্তার অভাব ও প্রয়োজন মেটানোর নিমিত্তে ও প্রাতিষ্ঠানিক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে পণ্য উৎপাদন পূর্ব কিছু কার্যক্রম থেকে শুরু করে ভোক্তা বা ক্রেতার নিকট পণ্য বা সেবা পৌছানো ও পণ্যটি ভোগ বা ব্যবহার পরবর্তী কিছু কার্যক্রমের সমষ্টিকে বাজারজাতকরণ বলে। 

একটি পণ্য উৎপাদনের পূর্বে বাজারজাতকরণের কিছু কাজ করতে হয়। যেমন, পণ্যটির বাজার জরিপ করা, পণ্যটির চাহিদা নির্ণয় করা, পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করা, বাজারে প্রতিযোগিতা কেমন আছে তা নির্ণয় করা ইত্যাদি। পণ্য উৎপাদন করার পর বাজারজাতকরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করতে হয়। পণ্য মোড়কীকরণ, গুদামজাতকরণ, পরিবহণ, মূল্য নির্ধারণ, বন্টন, প্রসার, মান নির্ধারণ ইত্যাদি বাজারজাতকরণ কাজ গুলো এই পর্যায়ে করতে হয়। আরও দেখুনঃ জুনিয়র ফিল্ড অফিসার এর কাজ কি

বাজারজাতকরণ কাকে বলে

পণ্য বিক্রয় করলেই বাজারজাতকরণের কাজ শেষ হয় না। ভোক্তাদের বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করা, ক্রেতাদের সন্তুষ্টি পরিমাপ করা ও কিভাবে পণ্যের মান আরও উন্নত করা যায় সেই সব কার্যাবলী এই পর্যায়ে সংঘটিত হয়ে থাকে। 

তাই আমরা বলতে পারি, বাজারজাতকরণ একটি বিশাল কার্যক্রমের সমাহার। এর আওতা অনেক ও ব্যপক। বাজারজাতকরণ সম্পর্কে কিছু বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি নিচে তুলে ধরা হলো।

অধ্যাপক ফিলিপ কোটলার ও গ্যারি আর্মস্ট্রং বলেন, “ বাজারজাতকরণ হচ্ছে একটি সামাজিক ও ব্যবস্থাপকীয় প্রক্রিয়া যার দ্বারা ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পণ্য উৎপাদন, মূল্য সৃষ্টি অথবা অন্যের সাথে বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজন ও অভাব পূরন করে থাকে।”

আমেরিকান মার্কেটিং এসোসিয়েশন এর মতে, “বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যক্তির সন্তুষ্টি বিধান ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দ্যেশাবলী অর্জনের নিমিত্তে ধারণা, পণ্য ও সেবার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, মূল্য নির্ধারণ, প্রসার ও বন্টন প্রক্রিয়াকে বলা হয় বাজারজাতকরণ।”

একটি পণ্য উৎপাদনের কথা চিন্তা করা থেকেই বাজারজাতকরণের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায় এবং তা শেষ হয় ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌছে দেওয়া ও তার পরবর্তী সেবা প্রদান করার মাধ্যমে। আরও দেখুনঃ দেউলিয়া ব্যাংক তালিকা ২০২৩

বাজারজাতকরণ কার্যাবলী

বাজারজাতকরণের প্রধাণ উদ্দেশ্য হলো ভোক্তার নিকট সবচেয়ে ভালো ও ব্যবহার উপযোগী পণ্য পৌছে দেওয়া। আর এর জন্য বাজারজাতকরণের কিছু কাজ রয়েছে।বাজারজাতকরণের কার্যাবলীকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। পণ্য উৎপাদনের পূর্বের কাজ, পণ্য উৎপাদনের পরের কাজ ও বিক্রয় পরবর্তী কাজ। নিচে বাজারজাতকরণের কার্যাবলী আলোচনা করা হলো।

বাজারজাতকরণ কাকে বলে

পণ্য উৎপাদন পূর্ব কার্যাবলী

একটি পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে অর্থাৎ পণ্যটি উৎপাদনের আগে বাজারজাতকরণের অনেক কাজ সম্পূর্ণ করতে হয়। পণ্য উৎপাদনের পূর্বে বাজারজাতকরণের যে সকল কার্যাবলী আছে তা হলোঃ

  • বাজার পর্যালোচনাঃ পণ্য উৎপাদন করার আগে বাজার পর্যালোচনা করা বাজারজাতকরণের অন্যতম প্রধাণ কাজ। বাজার থেকে সঠিক তথ্য পেলে পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়। 
  • পণ্যের চাহিদা নির্ণয়ঃ কোনো পণ্য উৎপাদনের পূর্বে বাজারে পণ্যের চাহিদা কতটুকু আছে তা নির্ণয় করা বাজারজাতকরণের কাজ। চাহিদার পরিমাণ জানা থাকলে সেই হিসাব অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করতে সুবিধা হয়ে থাকে।
  • অর্থ সংস্থানঃ একটি পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার নিকট পৌছানো পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। এই অর্থ কিভাবে, কোন খাত থেকে সংস্থান হবে তা নির্ধারণ করাও বাজারজাতকরণের কাজ।
  • পণ্য বিশ্লেষণঃ কি ধরনের পণ্য উৎপাদন করলে বেশি লাভ হবে, আবার কি পরিমাণ পণ্য উৎপাদন করতে হবে ও কোন শ্রেণির ক্রেতাদের উদ্দ্যেশে পণ্য উৎপাদন করা হবে তা নির্ণয় করা বাজারজাতকরণের প্রধাণ কাজ। এই বিষয় গুলো ঠিকমত বিশ্লেষণ করতে না পারলে বাজারে পণ্য ব্যর্থ হতে পারে। আরও দেখুনঃ সমাজকর্ম গবেষণার সংজ্ঞা | সমাজকর্মের গবেষণা কাকে বলে

উৎপাদন পরবর্তী কার্যাবলী

বাজারজাতকরণের আসল কাজ শুরু হয় পণ্য উৎপাদনের পর থেকে। এই পর্যায়ের কাজ গুলোর সফলতার উপর নির্ভর করে পণ্যটি বাজারে টিকতে পারবে কি না। এই পর্যায়ে বাজারজাতকরণের কার্যাবলী নিচে বর্ণনা করা হলোঃ

  • পণ্য শ্রেণিবদ্ধকরণঃ মান অনুযায়ী পণ্য গুলোকে বিভাজন করে সুবিন্যস্তভাবে সাজানোকে পণ্য শ্রেণিবদ্ধকরণ বলে। পণ্যের রং, গন্ধ, স্বাদ, ঘনত্ব, গঠণ ইত্যাদি ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধকরণ করা হয়ে থাকে। 
  • পরিবহণঃ উৎপাদনকারীর নিকট হতে ভোক্তার নিকট পণ্য পৌছানোর জন্য পরিবহণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। পণ্যের স্থানগত উপযোগ সৃষ্টি করে পরিবহণ। 
  • গুদামজাতকরণঃ একটি পণ্য উৎপাদনের সাথে সাথে তা চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পৌছায় না। তাই পণ্য গুলো সংরক্ষনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। গুদামজাতকরণের মাধ্যমে পণ্য সংরক্ষণ করা হয় ও পণ্যের সময়গত উপযোগ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। 
  • মোড়কীকরণঃ ভোক্তার নিকটে পণ্য আকর্ষণীয় করার জন্য ও সহজে পরিবহনের জন্য পণ্য মোড়কীকরণের প্রয়োজন হয়। এতে পণ্যের গুণগত মান বজায় থাকে ও চাহিদা বৃদ্ধি পায়। 
  • মূল্য নির্ধারণঃ পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা বাজারজাতকরণের খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাজারে অন্যান্য পণ্যের মূল্য ও চাহিদার উপর নির্ভর করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। 
  • প্রচার ও প্রসারঃ পণ্য সম্পর্কে ভোক্তাদের অবগত করার জন্য ব্যপক হারে প্রচার ও প্রসার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। ভোক্তারা যত বেশি পণ্য সম্পর্কে জানবে ততই পণ্যের চাহিদা বাড়বে। বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্যের প্রসার করা যায়।
  • বন্টন প্রণালী নির্বাচনঃ উৎপাদিত পণ্য কি প্রক্রিয়াতে ভোক্তার নিকট পৌছাবে তা নির্ধারণ করাও বাজারজাতকরণের কাজ। সঠিক বন্টন প্রণালী নির্বাচনের উপর পণ্যের সফলতা অনেকটা নির্ভর করে। 
  • বিক্রয়ঃ বাজারজাতকরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পণ্যের বিক্রয়। পণ্যের বিক্রয়ের পরিমাণের উপর প্রতিষ্ঠানের লাভ ক্ষতি নির্ভর করে। তাই একটি পণ্যের বিক্রয়ের পরিমাণ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে বাজারজাতকরণ কাজ করে থাকে। 

বিক্রয় পরবর্তী কার্যাবলী 

একটি পণ্য বিক্রয় হলেই বাজারজাতকরণের দায়িত্ব বা কাজ শেষ হয় না। পণ্য বিক্রয়ের পর বাজারজাতকরণের যে সকল কাজ থাকে তা হলোঃ

  • বিক্রয়োত্তর সেবাঃ পণ্য বিক্রয়ের পর ক্রেতা বা ভোক্তাদের যে সব সুবিধা বা সেবা দেওয়া হয় তাকেই বিক্রয়োত্তর সেবা বলা হয়। পণ্য বিক্রয়ের সময় বিভিন্ন মেয়াদে গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। এছাড়া ফ্রি হোম ডেলিভারি, কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ, ফ্রি মেরামত সুবিধা ইত্যাদি বিক্রয়োত্তর সেবার অন্তর্ভুক্ত। এই সেবার মাধ্যমে পণ্যের বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
  • ভোক্তার সন্তুষ্টি পরিমাপঃ পণ্য বা সেবা গ্রহণের পর ভোক্তা কতটুকু সন্তুষ্ট তা জানার জন্য ভোক্তাদের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা করা বাজারজাতকরণের অন্যতম কাজ। ভোক্তার সন্তুষ্টি পরিমাপ করা গেলে বাজারে পণ্যের চাহিদা নিরুপণ ও পণ্যের মান উন্নয়ন সহজ হয়ে যায়।
  • পণ্যের মান উন্নয়নঃ বাজারের তীব্র প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হলে প্রতিনিয়ত পণ্যের মান উন্নয়ন করতে হয়। ভোক্তাদের রুচি ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হয়। 

উপরোক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের মাধ্যমে বাজারজাতকরণের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই আমরা বলতে পারি একটি নতুন পণ্য বাজারে আনার জন্য বাজারজাতকরণের ভূমিকা অপরিসীম। 

বাজারজাতকরণের গুরুত্ব

একটি দেশের অর্থনীতিতে বাজারজাতকরণের গুরুত্ব অনেক। বাজারজাতকরণ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান  তাদের পণ্য নিয়ে বাজারে টিকতে পারবে না ও মুনাফা করতে পারবেনা। বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা উন্নত হলে সেই দেশের অথনীতিও উন্নত হয়। নিচে বাজারজাতকরণের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।

বাজারজাতকরণ কাকে বলে
  • প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনঃ বাজারে একটি পণ্যের কি পরিমাণ চাহিদা আছে তা বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে জানা যায়। ফলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেই অনুসারে পণ্য উৎপাদন করে থাকে। 
  • চাহিদা সৃষ্টিঃ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে মানুষের মাঝে পণ্যের নতুন চাহিদা তৈরি হয়ে থাকে। বিজ্ঞাপনের দ্বারা নতুন নতুন পণ্য সম্পর্কে মানুষ অবগত হয় ও তাদের সেই সব পণ্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
  • চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষাঃ বাজারজাতকরণের সাহায্যে বাজারে পণ্যের সঠিক চাহিদা নির্ণয় করা যায় তাই সেই অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয়ে থাকে। এতে অতিরিক্ত অথবা কম উৎপাদন ঘটেনা। ফলে যোগান ও চাহিদার মধ্যে সমতা বিরাজ করে। 
  • পণ্যের সুষম বন্টনঃ বাজারজাতকরণের সাহায্যে সারা দেশে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সঠিকভাবে বন্টন করা সম্ভব হয়ে থাকে। 
  • কর্মসংস্থান তৈরিঃ বাজারজাতকরণের জন্য অনেক ব্যক্তির প্রয়োজন হয়ে থাকে। এতে অনেক ব্যক্তির নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়। দেশের বেকারত্ব হ্রাসে বাজারজাতকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

এছাড়া মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও দেশের অর্থনীতির উন্নতীতে বাজারজাতকরণ অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। দেশের উন্নতীর ধারা বজায় রাখার জন্য পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে হবে। 

পরিশেষে বলতে পারি, আমাদের এই আধুনিক সভ্যতার পিছনে বাজারজাতকরণের অনেক অবদান রয়েছে। আমাদের সকল পণ্য ও সেবার অভাব দূর করতে বাজারজাতকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আশাকরি এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে বাজারজাতকরণ সম্পর্কে আপনারা সঠিক ধারণা নিতে পেড়েছেন। এই রকম অন্যান্য বিষয়ে সকল তথ্য পেতে আমাদের পেজে চোখ রাখুন। সবার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। 

Google News