একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা অপরিসীম। শক্তিশালী ব্যাংক কাঠামোকে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি বলা হয়। আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত অনেক সুদৃঢ় ছিল। কিন্তু করোনা মহামারি, ঋণ খেলাপি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি, দুর্বল মূলধন কাঠামো, রাজনৈতিক চাপ ইত্যাদি কারণে ব্যাংক খাতে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কিছু ব্যাংকের ঋণ খেলাপির পরিমাণ এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে ঐ সব ব্যাংকের মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে আমানতকারীদের আমানত ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। আমরা আজ আলোচনা করব দুর্বল ব্যাংক কাকে বলে, একটি ব্যাংক কি কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে, বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং এই সংকট থেকে পরিত্রানের উপায় কি তা নিয়ে। আরও দেখুনঃ সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস | সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস তালিকা

দুর্বল ব্যাংকের তালিকা

দুর্বল ব্যাংক বলতে কি বুঝায়

একটি ব্যাংকের দুর্বলতা মূল্যায়ন করা হয় চারটি চলকের উপর ভিত্তি করে। চলক গুলো হলো- শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত, প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির পরিমাণ। যে সব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি, মূলধনের ঘাটতি রয়েছে, বিতরনকৃত ঋণের অনুপাতে আমানতের পরিমাণ বেশি ও নিরাপত্তা সঞ্চিতির পরিমাণ অনেক কম সেই সব ব্যাংক গুলোকে দুর্বল ব্যাংক বলে। 

বাংলাদেশে পরিচালিত যে সব ব্যাংক দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে

বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত ৬১ টি সরকারি ও বেসরকারি ভাবে পরিচালিত ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিমাপের মানদণ্ড হলো ক্যামেলস রেটিং। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিং হতে জানা যায় দেশের ১০ ব্যাংকের রেটিং প্রান্তিক পর্যায়ে আছে অর্থাৎ দুর্বল পর্যায়ে আছে। কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকও এই তালিকায় রয়েছে। এই দশটি ব্যাংকের মধ্যে কিছু ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। আরও দেখুনঃ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো কি কি

দুর্বল ব্যাংকের তালিকা

বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত মূল্যায়ন কমিটি দুর্বল ব্যাংক গুলোর নাম না বললেও বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মাধ্যম থেকে দুর্বল ১০ টি ব্যাংকের নাম পাওয়া যায়। ব্যাংক গুলো হলোঃ

    ১। জনতা ব্যাংক লিমিটেড (Janata Bank)

    ২। বেসিক ব্যাংক (Basic Bank)

    ৩। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (Bangladesh agricultural bank)

    ৪। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (Rajshahi Krishi Unnayan Bank)

    ৫। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ব্যাংক (Bangladesh National Bank)

    ৬। পদ্মা ব্যাংক (Padma Bank)

     ৭। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (Bangladesh Commerce bank)

     ৮। আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক (ICB Islami Bank)

     ৯। ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (national bank of pakistan)

    ১০। এবি ব্যাংক (AB Bank)

দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এই সব ব্যাংকের অবস্থা খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সব ব্যাংকের মূলধনের ঘাটতি অনেক ও তারল্য সংকট এতই যে কোনো বড় আমানতকারী তার আমানত ফেরত চাইলে তা ফেরত দিতে সমস্যায় পড়ে যাবে।  শুধু তাই নয়, এই সব ব্যাংকের ঋণ খেলাপির পরিমাণ অনেক ও প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ প্রচুর। আরও দেখুনঃ ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল

ব্যাংক গুলোর সংকটের কারণ

বিভিন্ন কারণে একটি ব্যাংক সংকটে পড়ে থাকে। একটি ব্যাংকের রেটিং কম হওয়ার কারণে শুধু ব্যাংকই দায়ী নয়। এর সাথে সরকার, রাজনৈতিক নেতাদের চাপ ও অন্যান্য কারণ জড়িত। নিচে ব্যাংক গুলোর দুর্বল হওয়ার কারণ গুলো উল্লেখ করা হলো। 

 ঋণ খেলাপির পরিমাণ বৃদ্ধিঃ একটি ব্যাংক দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ঋণ খেলাপির                                  

পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। চিহ্নিত ১০টি ব্যাংকের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ঋণ  খেলাপির দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এই ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে ৯৭.৬৪%  ঋণ খেলাপি। এছাড়া আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ৮২.৬৪%, পদ্মা ব্যাংকের ৬৬% ও বেসিক ব্যাংকের ৬০% ঋণ খেলাপি। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ প্রদানের কারনেই ঋণ খেলাপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  

একই খাতে অধিক ঋণ প্রদানঃ যে সকল ব্যাংক একই খাতে অধিক পরিমানে ঋণ প্রদান করে তারাই ঋণ খেলাপির দিক দিয়ে এগিয়ে থাকে। ঋণের পরিমাণ বেশি হলে তা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। 

দুর্নীতি ও স্বজন-প্রীতিঃ দুর্নীতি ও স্বজন-প্রীতির মাধ্যমে যে সব ঋণ বিতরণ করা হয় তার অধিকাংশই খেলাপি হয়ে পড়ে। ফলে ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়ে।

রাজনৈতিক চাপঃ অনেক রাজনৈতিক নেতা আছেন যারা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে চান না। ব্যাংকও তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ দিতে পারেনা। ফলে খেলাপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

অদক্ষ কর্মীঃ ব্যাংকের অদক্ষ কর্মীদের জন্য ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পারেনা। ফলে গ্রাহকের সংখ্যা হ্রাস পায় ও আমানত কমে যায়। 

দুর্বল পরিচালনা পর্ষদঃ ব্যাংকের রেটিং কম হওয়ার আরও একটি অন্যতম কারণ হলো পরিচালনা পর্ষদের দুর্বলতা। দুর্বল পরিচালনা নীতির কারণে ব্যাংক মুনাফা করতে ব্যর্থ হয়।

সরকারের হস্তক্ষেপঃ অনেক সময় সরকারি কিছু সিদ্ধান্তর জন্য ব্যাংক বিপদে পড়ে যায়। সরকারি অনেক সংস্থাকে ঋণ দিয়ে তা ফেরত না পাওয়ার জন্য সরকারি ব্যাংক গুলো মূলধন ঘাটতিতে পড়ে। আবার বৈদেশিক বাণিজ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা না পাওয়ার জন্য অনেক গ্রাহক ব্যাংক গুলোর সাথে লেনদেন কমিয়ে দিচ্ছে।

ডলার সংকটঃ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত ডলার না পাওয়ার কারণে ব্যাংক গুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য এলসি খুলতে পারেনা। ফলে গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এতে ব্যাংকের ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

অভিন্ন সুদের হারঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন সকল ব্যাংক তাদের আমানতকারীদের একই সুদের হারে মুনাফা প্রদান করছে। ফলে নতুন ও অজনপ্রিয় ব্যাংক গুলো নতুন নতুন আমানতকারী সংগ্রহ করতে পারছেনা। ফলে মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতিতে পড়ছে। 

সিঙ্গেল ডিজিট সুদের হারঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতি অনুযায়ী ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যাংক ১% থেকে ৯% এর বেশি সুদ নিতে পারবেনা। ফলে ব্যাংক গুলোর মুনাফা অনেক হ্রাস পেয়েছে। 

পর্যাপ্ত জামানত না রাখাঃ ঋণ খেলাপির অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত জামানত না রাখা। আবার যে টুকু জামানত রাখে তার বাজার মূল্য অনেক কম থাকে। ফলে ঋণ খেলাপি হলে তা বিক্রয় করেও ঘাটতি পূরুন করা সম্ভব হয় না।

উপরোক্ত কারণ ছাড়াও আরও অনেক কারণে ব্যাংক গুলোর রেটিং হ্রাস পাচ্ছে এবং তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে।

দুর্বল ব্যাংক গুলোর সংকট থেকে মুক্তির উপায়

একটি ব্যাংক দুর্বল হওয়ার পিছনে খেলাপি ঋণ বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই ব্যাংক গুলোর উচিত সবার আগে খেলাপি ঋণ কমানোর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। খেলাপি ঋণ চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আলাদা কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটির প্রধান কাজই হবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা। দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ কমিয়ে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী ঋণ বিতরণে বেশি মনোযোগী হতে হবে। আরও দেখুনঃ সৌদি রিয়াল রেট বাংলাদেশ

একই খাতে বেশি ঋণ না দিয়ে বিভিন্ন খাতে অল্প অল্প করে ঋণ দিলে তা খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার একজন খেলাপি ঋণ গ্রহীতা যেন পুনরায় ঋণ না পায় সেই লক্ষ রাখতে হবে। ঋণ প্রদানের পূর্বে ঋণ গ্রহীতার সকল তথ্য যাচাই বাছাই করতে হবে। পর্যাপ্ত জামানত গ্রহণ করতে হবে ও জামানতে বর্তমান বাজার মূল্য সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। পর্যাপ্ত জামানত নিয়ে ঋণ বিতরণ করলে তা খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।

রাজনৈতিক চাপে পড়ে ঋণ প্রদান হতে বিরত থাকতে হবে। অলাভজনক খাতে যেন ঋণ প্রদান না হয় সেই দিক লক্ষ্য রাখতে হবে। বিভিন্ন সেবা মূলক কাজে অংশগ্রহণ করে ব্যাংকের সুনাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। 

কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তাদের দক্ষ করে তুলতে হবে। গ্রাহকদের সাথে আন্তরিকতার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।  সকল গ্রাহকদের সমান চোখে দেখতে হবে। এতে করে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফিরে আসবে।         

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে হবে। এর ফলে ব্যাংকে সুশাসন ফিরে আসবে ও কাজের পরিবেশ উন্নত হবে। নতুন ডিপিএস স্কিম চালুর মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকের প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে।

দুর্বল ব্যাংক গুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ সমূহ

দুর্বল ব্যাংক গুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রত্যেকটি ব্যাংকের সাথে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকের জন্য তিন বছর মেয়াদী একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রদান করেছে। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাংক গুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্য একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন,’একটি ব্যাংক খারাপ হলে অন্যটির ওপর এর প্রভাব পড়ে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধের পক্ষে নই, আমানতকারী যেন তাঁর টাকা ফেরত পান সেটা নিশ্চিত করতে চাই। সব ব্যাংক ব্যবসা করবে, লাভ করবে, বাজারে টিকে থাকবে, এটা আমরা চাই।’ তিনি বলেন, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের জন্য ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সার্কুলার পুনরায় কিছুটা স্পষ্ট করা হয়েছে। কয়টি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে খেলাপি হবে, তা-ও নির্ধারণ করা হয়েছে।’

এছাড়া সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ড বিক্রয়ের কথা ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের পরিমাণ কমবে এবং সাথে সাথে ঋণ খেলাপির পরিমানও কমে আসবে।

দুর্বল ব্যংক গুলোর সংকট দূর করতে সরকারের পদক্ষেপ সমূহ

বাংলাদেশ সরকার দুর্বল ব্যাংক গুলোকে শক্তিশালি করার জন্য নতুন ব্যাংক কোম্পানি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এই আইনের ধারায় দুর্বল ব্যাংক অন্য কোনো সবল ব্যাংকের সাথে একিভূত হয়ে যাবে। ফলে দুর্বল ব্যাংকের অবসায়ন ঘটবে। 

নতুন আইনে যুক্ত হবে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি চিহ্নিত করার সুযোগ। এই আইনের ধারা অনুযায়ী যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি হবে তারা রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবেনা। এমনকি কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক,পেশাজীবী সংগঠনের কোনো পদেও থাকতে পারবে না। 

ব্যাংক কোম্পানির নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে,কোনো ব্যাংক যদি মনে করে তার বিদ্যমান আর্থিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে এবং উন্নতির কোনো সুযোগ নেই, তখন ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ব্যাংকটির অবস্থার উন্নতির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

সকল চেষ্টার পরেও ব্যাংকটির অবস্থার উন্নতি না হলে সেই ব্যাংকটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার প্রস্তাবও আছে নতুন এই আইনে। নতুন আইন সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুর্বল ব্যাংকের অবসায়ন বা অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়টি আইনে থাকছে জেনে ভালো লাগছে। তবে তা যথাযথভাবে করতে না পারলে সমস্যা দেখা দেবে। দেশের অনেক আইন সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে কার্যকর হয় না। এ ক্ষেত্রে যেন সে রকম না হয়, তা আমরা আশা করব।’ 

আমরাও আশা করি সকল সমস্যা মোকাবেলা করে এই ব্যাংক গুলো পুনরায় মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস জয় করবে ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Google News