তাঁদের মধ্যকার বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

তাঁদের মধ্যকার বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

১৭ মার্চ, ১৯৭১ 

৭ ই মার্চ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে রোপিত হয় স্বাধীনতার বীজ , ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ লাখো জনতার সামনে নিজের রক্তের বিনিময়ে হলেও দেশকে মুক্ত করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ততকালইন রেসকোর্স ময়দানে সেদিন রচিত হয়েছিল অমর মহাকাব্য, ওই সময়টাতে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা বাঙ্গালীদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেল ছিল। তাদের বিরুদ্ধে বুলেটের মত কাজ করেছিল ৭ ই মার্চের ভাষণ , ঐদিন সকাল থেকে রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। সবার ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা আসতে পারে। হলো ও তাই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় শেখ মুজিবকে তার স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বলেছিলে তুমি যা বিশ্বাস করো তাই বলবে।

ভাষণটি বঙ্গবন্ধু নিজের চিন্তা থেকেই দিয়েছিলেন সবি তার মনের খাতায় লেখা ছিল ,*এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম* বলা হয়ে থাকে এই বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একটা গেরিলা যুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছে। ১৮ মিনিটের ওই ভাষণটি কোন সাধারন ভাষণ নয়, পৃথিবীতে সাতটি ভাষণ এর মধ্যে শীর্ষে আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণটি। শুধু তাই নয় ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো) ফিদেল ক্যাস্ট্রো- বলেছেন ৭ ই মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধুই ভাষণ নয় এটি একটি অরণ্য কৌশলের তলী।

১৫ মার্চ, ১৯৭১

১৫ই মার্চ একাত্তরের উত্তাল এই দিনে বাংলার অবিসংবাধিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বৈঠক করতে ঢাকায় আসেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান । তিনি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে করাচী থেকে ঢাকায় আসেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ঢাকায় আসার খবর ছিল বেশ গোপনে।

ভুট্টোর দুই পার্টি সমাধানে পশ্চিম পাকিস্তানেই ব্যাপক ক্ষোভ। সর্বমহলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। ভুট্টোর সমাধানকে অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেন পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ।

 চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে সকল কাজে বাংলা প্রচলনের সিদ্ধান্ত। স্থানীয় শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের এক সভায় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের গণবিরোধী ভূমিকার নিন্দা করা হয়। বেতার কেন্দ্রে সংগ্রাম কমিটি গঠন।

১৬ মার্চ, ১৯৭১

মুজিব-ইয়াহিয়ার একান্ত বৈঠক

উত্তাল অসহযোগ আন্দোলনের ১৫ তম দিন; শেখ মুজিবের সাথে বৈঠকের সাথে মিটিংয়ের জন্যে আগের দিন (১৫ মার্চ) প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এসে ঢাকা পৌছেন। ষোল তারিখ সকাল এগারোটায় প্রেসিডেন্ট ভবনে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ও ইয়াহিয়া খানের বৈঠক সম্পন্ন হয়। ইয়াহিয়া খান পরিষদ স্থগিত করার ক্ষেত্রে তাঁর পদক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যা করে আলোচনা শুরু করেন।

নিউজিল্যান্ডের পর্যালোচনা কেন্দ্রের এক প্রতিবেদন: ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু কার্যরত স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। জনৈক এক পাশ্চাত্য কূটনীতিবিদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদক লোরেন জেনকিনসে লিখেন, পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গার লোক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে কোন প্রশ্ন নয়। বরং পরিস্থিতি হঠাৎ করে এত দূর গড়িয়ে যাবে যে পূর্ব ও পশ্চিমমাচল কি এটা পরবর্তী সপ্তাহে কিংবা আগামী মাসের দিকে অথবা দুই বছর পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ইহাই প্রশ্ন। জামালপুরের হাজার হাজার লোক লাঠি ও নানান রকম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে।

আরো দেখুন:

Google News

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *