চিনা বাদাম কেন খাবেন? চলুন চিনা বাদামের উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক!
১) বাজেরে অনেক রকমের বাদাম কনিতে পাওয়া যায়, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাদাম টির নাম চিনাবাদাম, অন্যান্যবারের তুলনায় চিনাবাদাম সহজলভ্য বলেই হয়তো অনেকে একে তেমন গুরুত্ব দিতে চায় না। কিন্তু খাদ্যগুণের চিনাবাদাম কোন অংশেই কম নয় , সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে ভাজা বাদাম এর বদলে কাচা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে।
২) কাচা বাদাম হজম করতে না পারলে পানিতে ভিজিয়ে খাবেন, বাদামের উপর পাতলা বাদামী বর্ণের আবরণ থাকে পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে খোসাটি উঠে যায়।
৩) গর্ভবতী মহিলা বাড়ন্ত শিশু ও মেনোপজ হয়ে গেছে এমন মহিলার জন্য কাঁচা বাদাম ভীষণ জরুরি, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।
৪) বাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংসপেশি তৈরিতে সাহায্য করে, কাচা বাদাম ক্লোন ক্যান্সার স্তন ক্যান্সার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৫) এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড় গঠনে সাহায্য করে , বাদামে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা রক্তের লোহিত রক্তকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে।
৬) বাথরুমের ভিটামিন ই এবং ক্যান্টিন ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে , ত্বকের বলিরেখা থেকে বিরতি দেয়।
৭) বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্য বাদাম ভীষণ জরুরী ,কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর বেশিরভাগ মানুষের অস্টিওপেরোসিস হয়, এই অসুখে হার্ট দুর্বল হয়ে যায় এবং পুরো শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন দেহের ওজন কমানোর ,ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নিয়মিত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
৮) মেনু ক্রস হয়ে যাওয়া নারীর হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে, তাদের দেহে জরুরী ওনেক হরমোন তৈরি হয় না ,এমন অবস্থাতেও চিনা বাদাম হতে পারে আপনার বন্ধু।
৯)এতে শরীরের জন্য জরুরী অনেক উপকরণ রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ত্বকে যোগায় পুষ্টি সাহায্য করে বার্ধক্যকে দূরে ঠেলতে।
১০) ত্বকের অসুখ গুলো কে দূরে রাখে চিনা বাদাম, দাঁত, হাড় ,নখ, ও চুলকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে এই চিনা বাদামের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তবে সবাই সহজে হজম করতে পারে না এই চিনা বাদাম, তাই অবশ্যই নিজের হজম ক্ষমতাকে বুঝে তারপর বাদাম খান।
এবার চলুন দেখে আসি চিনা বাদামের অপকারিতা গুলো!
১) শরীরে এলার্জি হতে পারে, অনেকেরই চিনা বাদাম খেলে শরীরের এলার্জি বাড়তে পারে। যাদের চিনা বাদামে এলার্জি রয়েছে, তারা বাদাম থেকে দূরে থাকবেন।
২) অতিরিক্ত চীনা বাদাম খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ হতে পারে তাই পরিমাণ মতো খাবেন।
৩) গরমের সময় অতিরিক্ত চীনা বাদাম খেলে পেটে গ্যাস এবং বুক জ্বালা হতে পারে।
৪) চিনা বাদামের ম্যাগনেসিয়াম ওষুধের কাজকর্ম দ্রুত করা থেকে আটকায়।
পাঠক আশা করছি আপনি খুব সহজেই জানতে পারলেন চীনা বাদামের উপকার এবং অপকারিতা এর ব্যাপারে, এখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো ইন্টারেস্টিং পোস্টে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আরো দেখুন:
- গর্ভাবস্থায় কাঠ বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
- কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
- ওজন কমাতে বাদামের ব্যবহার ও উপকারিতা
- কোন বাদামের উপকারিতা বেশি এবং কিভাবে খেতে হয়
- কাচা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
- আমন্ড বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
- কাঠ বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
- কাঁচা ছোলা ও কাচা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
- আখরোট বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা