আসসালামু আলাইকুম, আপনি নিশ্চয়ই সমিতির নামকরণ করার জন্য সমিতির ইসলামিক নাম ও নতুন এবং ইউনিক অর্থ সম্পন্ন নাম খুঁজছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আমরা সমিতির নামকরণসহ সমিতি কাকে বলে সমিতির প্রকারভেদ বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত সমিতির নাম পেয়ে যাবেন। এবং আপনার সমিতির নামকরণ করতে পারবেন খুব সহজেই। তাহলে চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে নেওয়া যাক। আরও দেখুনঃ ইসলামিক নামসমুহ
সমিতি কাকে বলে?
পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে যৌথ প্রচেষ্টায় গঠিত পরিষদ বা সভাকে সমিতি বলা হয়। অর্থাৎ কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত সংগঠনই হলো সমিতি।
আবার মাইক্রো ফাইনান্স সেক্টরে সমিতি বা দল বলতে একই শ্রেণীভুক্ত জনগোষ্ঠী বিশেষ করে দরিদ্র ও হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে একত্রিত করে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্রোয়াশ কে বুঝায়। আরও দেখুনঃ ছেলেদের নাম
সাংগঠনিক স্তরের ভিত্তিতে সমবায় সমিতি কত প্রকার?
সাংগঠনিক স্তরের ভিত্তিতে সমবায় সমিতি সাধারণত চার প্রকার। যথা
- প্রাথমিক সমবায় সমিতি
- কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি
- জাতীয় সমবায় সমিতি
- মিশ্র সমবায় সমিতি
সমিতির নামকরণ
সমিতির নামকরণ আপনি আপনার পছন্দমত মিলিয়ে করতে পারেন। আবার অনেক সময় এলাকা কিংবা এলাকার মহৎ ব্যক্তির নামে আপনার সমবায় সমিতির নাম রাখতে পারেন। অথবা ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ও আপনার সমবায় সমিতির নামকরণ করতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিচে কিছু সমিতি ক্লাবের নাম সমূহ উল্লেখ করেছি। এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন নামই বাছাই করে আপনার বন্ধু সমিতির নাম, মহিলা সমিতির নাম, পারিবারিক সমিতির নামকরণ সহ যেকোনো সমতির নামকরণ করতে পারেন। আরও দেখুনঃ মেয়েদের নাম
- আল ইনসাফ সমবায় সমিতি
- ফুলকলি সমবায় সমিতি
- আদর্শ সমবায় সমিতি
- TS (Touch to succeed) সমবায় সমিতি
- সবুজ কুড়ি সমবায় সমিতি
- অনুরাগ সমবায় সমিতি
- ভাই ভাই একতা সংগঠন
- একতা সমবায় সমিতি
- আদর্শ তারুণ্য সমবায় সমিতি
- আদর্শ যুব সমাজ সমবায় সমিতি
- যুবসমাজ সমবায় সমিতি
- সমাজ কল্যাণ সমবায় সমিতি
- দারিদ্র বিমোচন সমবায় সমিতি
- ইসলামী সমবায় সমিতি
- তার অন্য সমবায় সমিতি
- আদর্শ সমবায় সমিতি
আমাদের এই সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রায় সকল কাজই সমবায় ভিত্তিতে হয়ে থাকে। কারণ সে ক্ষেত্রে শ্রেণী বৈষম্য নেই এবং সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত থাকে। কিন্তু ধন তান্ত্রিক অর্থনীতিতে যখন শ্রেণী বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করে তখন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি তাদের সুবিধার্থে সমবায় প্রতিষ্ঠা করে। উৎপাদক ক্রেতা ভোক্তা শ্রমিক মোটকথা সমাজের সকল শ্রেণীর লোকই সমবায় সমিতি গড়ে তুলে সম্মিলিত কার্যক্রমের সুবিধা ভোগ করতে পারে। দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’- এই চিন্তাধারা হতেই সমবায় সমিতির সূচনা।