আমন্ড বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমন্ড বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

আজ আমি আপনাদের বলবো আমন্ড বাদাম কিভাবে খাবেন এবং এর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের খাদ্যতালিকায় বাদামের ব্যবহার হয়ে আসছে, আমরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের বাদাম দেখতে পাই ,সব বাদামি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর, এদের মধ্যে অন্যতম একটি বাদাম হল আমন্ড বাদাম,  প্রকৃতপক্ষে বাদাম গুলি হল ভিস। বাদাম এ ভিটামিন খনিজ ও প্রোটিন , ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যেগুলি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়।

এই ছোট ছোট বাদাম গুলি যদি আমরা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করি তাহলে আমরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি তাহলে , চলুন জেনে নিই উপকারিতা গুলি কি কি এবং কিভাবে খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে।

১) কোলেস্টরেলের মাত্রা হ্রাস করে: আমন্ড বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার রক্ত কোষগুলোতে ভিটামিন ই এর মাত্রা বেড়ে যায় , ভিটামিন ই একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, এই ভিটামিন ই আপনার কোলেস্টেরল হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পারে, বাদামের ফ্যাট থাকে তবে তা অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অসম্পৃক্ত ফ্যাটি কোন ব্যক্তির রক্তের কোলেস্টেরলের অবস্থার উন্নতি করতে পারে। আবার বাদামের পুষ্টিগুণ গুলি উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে বা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

২) বাদাম হার্টের পক্ষে ভালো: আমন্ড বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার রক্তের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বাড়ে, রক্তচাপ হ্রাস করতে সহায়তা করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহ কে উন্নত করে। উচ্চ রক্তচাপ এবং খারাপ কোলেস্টেরল হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। কিন্তু আমন্ড বাদাম উচ্চ রক্তচাপ এবং খারাপ কোলেস্টেরল কে নিয়ন্ত্রণ করে , ফলে আপনার হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

৩) ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে: আমন্ড বাদাম রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, বাদামে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ইনসুলিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে, ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। 

৪) ওজন হ্রাস করে: বাদামে প্রোটিন এবং ফাইবারের উচ্চতর উপাদান রয়েছে, এবং শর্করা গুলির নিম্নস্তরের পরিমাণ রয়েছে, যা আপনার ক্ষুধা নিবারন করে ,এর ফলে আপনার খাবারের পরিমাণ এর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এবং আপনার ওজন হ্রাস পাবে।

৫) চোখের সুরক্ষা দেয়: বাদামে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকে যা আপনার চোখকে সুরক্ষা দেয় এবং আপনার লেন্সের অস্বাভাবিক পরিবর্তন গুলি রোধ করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে বাদাম খাবেন না, তা আপনার ওজন বাড়াতে পারে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ই-এর গ্রহণের ফলে প্রোস্টেট ক্যান্সার হতে পারে।

৬) বাদাম ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: বাদামে নির্দিষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে , বাদাম খাওয়ার ফলে খাদ্য হজম তন্ত্রের মধ্যে দিয়ে আরও সহজে চালিত হতে পারে। এবং এটি আপনার কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করবে। এই বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা স্তন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে। 

কিভাবে আমন্ড বাদাম খেতে হয়?

প্রথমে একটি বাটিতে চার-পাঁচটি আমন্ড বাদাম নিন এবং এতে পানি দিন পানি দিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এর ফলে বাদামের উপরের স্কিন ভিজে নরম হয়ে যাবে। এর পরে বাদামের উপরের স্কিন ছাড়িয়ে ফেলুন।

এবার এই বাদাম গুলি খান, তবে এই বাদাম গুলি খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খাবেন। নতুবা হজমের সমস্যা হতে পারে, বিশেষভাবে বলে রাখি কখনো বাদামের চোকলা না ছাড়িয়া খাবেন না। কারণ হজমে খুবই সমস্যা সৃষ্টি করে এবং কখনো ৪ পাঁচটির বেশি বাদাম ও খাবেন না। কারণ বেশি পরিমাণে বাদাম আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।

আরো দেখুন:

আখরোট বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

Google News

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *