সংসারে অভাব দূর করার দোয়া: অভাব অনটন, দুঃখ কষ্ট, ভালোলাগা খারাপ লাগা সবকিছু নিয়েই মানুষের জীবন। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন ঠিক একইভাবে নিয়ামত হিসেবে দিয়েছেন অনেক কিছু। আবার বলা যায় এই দুনিয়ার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখার জন্যই তিনি বিভিন্ন ধরনের মানুষ সৃষ্টি করেছেন।

তাইতো আমাদের মাঝে কেউ গরীব, আবার কেউবা ধনী। আশেপাশে তাকালে বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন বর্ণের মানুষ। কেউ অর্থের অভাবে একমুঠো খেতে পারছে না, আবার কেউবা অতিরিক্ত অর্থের কারনে খাবারের অপচয় করছে।

সংসারে অভাব দূর করার দোয়া  যে সব আমলে অভাব দূর হয়

তবে ইসলাম সর্বদা অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলে সম্বোধন করে। তাই অবশ্যই আমাদের সাশ্রয়ী হওয়া উচিত। সেই সাথে সংসারের অভাব দূর করতে দোয়া এবং আমল করা প্রয়োজন। কোরআন ও হাদিসে এমন অনেক দোয়া রয়েছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহতালা সেই পরিবারের অভাব অনটন দূর করে দেন সুবহানাল্লাহ।

সংসারে অভাব দূর করার দোয়া

বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মাকহুল (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এ বাক্যগুলো সাতবার বলবে আল্লাহতায়ালা তার সত্তরটি অভাব দূর করবেন। (তন্মধ্যে) সবচেয়ে হাল্কা বিপদ হলো (মানুষের) অভাব। দোয়াটি হলো-

আরবিঃ لاَ حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ ، وَلا مَلْجَأَ مِنَ اللهِ إِلاَّ إلَيْهِ

বাংলা উচ্চারণঃ লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ- লা মালজায়া মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি।

অর্থঃ আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং নেক আমলে মশগুল হওয়া সম্ভব না। আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তার কাছেই আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়াও পড়তে পারেন–

اللّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ، وَالْقِلَّةِ، وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أو أُظْلَمَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলামা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে। এবং আপনার কম দয়া থেকে ও অসম্মানী থেকে। এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি— কাউকে জুলুম করা থেকে অথবা কারও দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৪৪)

অভাব দূর করার আমল

আপনি যদি আপনার সংসারের অভাব দূর করতে চান এবং মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত বর্ষণের আশা করেন তাহলে সর্বদা কিছু আমল ও আদব কায়দা মেনে চলতে হবে। যেমন:

✓ আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা

✓ নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা

✓ইস্তেগফার পড়া

কোন সূরা পাঠ করলে কখনই দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না?

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। তাহলে আসুন জেনে নেই সূরা ওয়াকিয়া এর আরবি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থঃ

আরবীঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বাংলা অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

(১)

আরবীঃ إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ

উচ্চারণঃ ইযা-অক্বা‘আতিল্ ওয়া-ক্বি‘আতু।

বাংলা অনুবাদঃ যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে।

(২)

আরবীঃ لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ

উচ্চারণঃ লাইসা লিঅক‘আতিহা-কা-যিবাহ্।

বাংলা অনুবাদঃ তার সংঘটনের কোনই অস্বীকারকারী থাকবে না।

(৩)

আরবীঃ خَافِضَةٌ رَافِعَةٌ

উচ্চারণঃ খ-ফি দ্বোয়ার্তু র-ফি‘আহ।

বাংলা অনুবাদঃ তা কাউকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং কাউকে করবে সমুন্নত।

(৪)

আরবীঃ إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا

উচ্চারণঃ ইযা- রুজ্জ্বাতিল্ র্আদু রজ্জ্বান্।

বাংলা অনুবাদঃ যখন যমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে।

(৫)

আরবীঃ وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا

উচ্চারণঃ অবুস্সাতিল্ জ্বিবা-লু বাস্সা-।

বাংলা অনুবাদঃ আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে।

(৬)

আরবীঃ فَكَانَتْ هَبَاءً مُنْبَثًّا

উচ্চারণঃ ফাকা-নাত্ হাবা-য়াম্ মুম্বাছ্ছাঁও।

বাংলা অনুবাদঃ অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।

(৭)

আরবীঃ وَكُنْتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً

উচ্চারণঃ অকুন্তুম্আয্ওয়া-জ্বান্ ছালা-ছাহ্।

বাংলা অনুবাদঃ আর তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন দলে।

(৮)

আরবীঃ فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ

উচ্চারণঃ ফাআছ্হা-বুল্ মাইমানাতি মা য় আছ্হা-বুল্ মাইমানাহ্।

বাংলা অনুবাদঃ সুতরাং ডান পার্শ্বের দল, ডান পার্শ্বের দলটি কত সৌভাগ্যবান!

(৯)

আরবীঃ وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ

আরবি উচ্চারণঃ অআছ্হা-বুল্ মাশ্য়ামাতি মা য় আছ্হা-বুল্ মাশ্য়ামাহ্।

বাংলা অনুবাদঃ আর বাম পার্শ্বের দল, বাম পার্শ্বের দলটি কত হতভাগ্য!

(১০)

আরবীঃ وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ

আরবি উচ্চারণঃ অস্সা-বিকু নাস্ সা-বিকুন।

বাংলা অনুবাদঃ আর অগ্রগামীরাই অগ্রগামী।

(১১)

আরবীঃ أُولَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ

আরবি উচ্চারণঃ উলা-য়িকাল্ মুর্ক্বরাবূন্।

বাংলা অনুবাদঃ তারাই সান্নিধপ্রাপ্ত।

(১২)

আরবীঃ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ

আরবি উচ্চারণঃ ফী জ্বান্না-তিন্ না‘ঈম্।

বাংলা অনুবাদঃ তারা থাকবে নিআমতপুর্ণ জান্নাতসমূহে ।

(১৩)

আরবীঃ ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ

আরবি উচ্চারণঃ ছুল্লাতুম্ মিনাল্ আউয়্যালীন।

বাংলা অনুবাদঃ বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে,

(১৪)

আরবীঃ وَقَلِيلٌ مِنَ الْآخِرِينَ

আরবি উচ্চারণঃ অক্বালীলুম্ মিনাল্ আ-খিরীন্।

বাংলা অনুবাদঃ আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।

(১৫)

আরবীঃ عَلَى سُرُرٍ مَوْضُونَةٍ

আরবি উচ্চারণঃ ‘আলা- সুরুরিম্ মাওদ্বূনাতিম্।

বাংলা অনুবাদঃ স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে!

(১৬)

আরবীঃ مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ

আরবি উচ্চারণঃ মুত্তাকিয়ীনা ‘আলাইহা-মুতাক্ব-বিলীন্।

বাংলা অনুবাদঃ তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়।

(১৭)

আরবীঃ يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ

আরবি উচ্চারণঃ ইয়াতুফু ‘আলাইহিম্ ওয়িল্দা-নুম্ মুখাল্লাদূন।

বাংলা অনুবাদঃ তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা,

(১৮)

আরবীঃ بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِنْ مَعِينٍ

আরবি উচ্চারণঃ বিআক্ওয়া-বিঁও অআবা-রীক্বা অকাসিম্ মিম্ মা‘ঈনিল্।

বাংলা অনুবাদঃ পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপুর্ণ পেয়ালা নিয়ে,

(১৯)

আরবীঃ لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُونَ

আরবি উচ্চারণঃ লা-ইয়ুছোয়াদ্দা‘ঊনা ‘আন্হা-অলা- ইয়ুন্যিফূন।

বাংলা অনুবাদঃ তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে।

(২০)

আরবীঃ وَفَاكِهَةٍ مِمَّا يَتَخَيَّرُونَ

আরবি উচ্চারণঃ অফা-কিহাতিম্ মিম্মা-ইয়াতাখাইয়্যারূন।

বাংলা অনুবাদঃ আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে।

(২১)

আরবীঃ وَلَحْمِ طَيْرٍ مِمَّا يَشْتَهُونَ

আরবি উচ্চারণঃ অলাহ্মি ত্বোয়াইরিম্ মিম্মা-ইয়াশ্তাহূন।

বাংলা অনুবাদঃ আর পাখির গোশ্ত নিয়ে, যা তারা কামনা করবে।

(২২)

আরবীঃ وَحُورٌ عِينٌ

আরবি উচ্চারণঃ অহূরুন্ ‘ঈনুন্।

বাংলা অনুবাদঃ আর থাকবে ডাগরচোখা হূর,

(২৩)

আরবীঃ كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ

আরবি উচ্চারণঃ কাআম্ছা-লিল্ লুলুয়িল্ মাক্নূন্ ।

বাংলা অনুবাদঃ যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা,

(২৪)

আরবীঃ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

আরবি উচ্চারণঃ জ্বাযা-য়াম্ বিমা-কা-নূ ইয়া’মালূন্।

বাংলা অনুবাদঃ তারা যে আমল করত তার প্রতিদানস্বরূপ।

(২৫)

আরবীঃ لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا

আরবি উচ্চারণঃ লা-ইয়াস্মাঊ’না ফীহা-লাগ্ওয়াঁও অলা-তাছীমান্।

বাংলা অনুবাদঃ তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা;

(২৬)

আরবীঃ إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا

আরবি উচ্চারণঃ ইল্লা-ক্বীলান্ সালা-মান্ সালা-মা-।

বাংলা অনুবাদঃ শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম’

(২৭)

আরবীঃ وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ

আরবি উচ্চারণঃ অআছ্হা-বুল্ ইয়ামীনি মা য় আছ্হা-বুল্ ইয়ামীন্।

বাংলা অনুবাদঃ আর ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল!

(২৮)

আরবীঃ فِي سِدْرٍ مَخْضُودٍ

আরবি উচ্চারণঃ ফী সিদ্রিম্ মাখ্দ্বুদিঁও।

বাংলা অনুবাদঃ তারা থাকবে কাঁটাবিহীন কুলগাছের নিচে,

(২৯)

আরবীঃ وَطَلْحٍ مَنْضُودٍ

আরবি উচ্চারণঃ অত্বোয়াল্হিম্ মান্দ্বুদিঁও।

বাংলা অনুবাদঃ আর কাঁদিপণূর্ কলাগাছের নিচে,

(৩০)

আরবীঃ وَظِلٍّ مَمْدُودٍ

আরবি উচ্চারণঃ অজিল্লিম্ মামদূদিঁও।

বাংলা অনুবাদঃ আর বিস্তৃত ছায়ায়,

(৩১)

আরবীঃ وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ

আরবি উচ্চারণঃ অমা-য়িম্ মাস্কূবিঁও।

বাংলা অনুবাদঃ আর সদা প্রবাহিত পানির পাশে,

(৩২)

আরবীঃ وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ

আরবি উচ্চারণঃ অ ফা- কিহাতিন্ কাছীরাতিল্।

বাংলা অনুবাদঃ আর প্রচুর ফলমূলে,

(৩৩)

আরবীঃ لَا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ

আরবি উচ্চারণঃ লা-মাকতুআতিঁও অলা-মাম্নূ‘আতিঁও ।

বাংলা অনুবাদঃ যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না।

(৩৪)

আরবীঃ وَفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ

আরবি উচ্চারণঃ অফুরুশিম্ মারফূ‘আহ্।

বাংলা অনুবাদঃ (তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে;

(৩৫)

আরবীঃ إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً

আরবি উচ্চারণঃ ইন্না য় আন্শানা-হুন্না ইন্শা-য়ান্।

বাংলা অনুবাদঃ নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব।

(৩৬)

আরবীঃ فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا

আরবি উচ্চারণঃ ফাজ্বা‘আল্না-হুন্না আব্কা-রন্।

বাংলা অনুবাদঃ অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী,

(৩৭)

আরবীঃ عُرُبًا أَتْرَابًا

আরবি উচ্চারণঃ উ’রুবান্ আত্র-বাল্

বাংলা অনুবাদঃ সোহাগিনী ও সমবয়সী।

(৩৮)

আরবীঃ لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ

আরবি উচ্চারণঃ লিআছ্হা-বিল্ ইয়ামীন্।

বাংলা অনুবাদঃ ডানদিকের লোকদের জন্য।

(৩৯)

আরবীঃ ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ

আরবি উচ্চারণঃ ছুল্লাতুম্ মিনাল্ আউয়্যালীনা।

বাংলা অনুবাদঃ তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।

(৪০)

আরবীঃ وَثُلَّةٌ مِنَ الْآخِرِينَ

আরবি উচ্চারণঃ অছুল্লাতুম্ মিনাল্ আ-খিরীন্।

বাংলা অনুবাদঃ আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।

(৪১)

আরবীঃ وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ

আরবি উচ্চারণঃ অআছ্হা-বুশ্ শিমা- লি মা য় আছ্হা-বুশ্ শিমা-ল্।

বাংলা অনুবাদঃ আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল!

(৪২)

আরবীঃ فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ

আরবি উচ্চারণঃ ফী সামূমিঁও অহামীমিঁও।

বাংলা অনুবাদঃ তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে,

(৪৩)

আরবীঃ وَظِلٍّ مِنْ يَحْمُومٍ

আরবি উচ্চারণঃ অজিল্লিম্ মিঁ ইয়াহ্মূমিল্।

বাংলা অনুবাদঃ আর প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়,

(৪৪)

আরবীঃ لَا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ

আরবি উচ্চারণঃ লা-বা-রিদিঁও অলা-কারীম্।

বাংলা অনুবাদঃ যা শীতলও নয়, সখু করও নয়।

(৪৫)

আরবীঃ إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ

আরবি উচ্চারণঃ ইন্নাহুম্ ক্বা-নূ ক্বব্লা যা-লিকা মুত্রাফীন্।

বাংলা অনুবাদঃ নিশ্চয় তারা ইতঃপূবের্ বিলাসিতায় মগ্ন ছিল,

(৪৬)

আরবীঃ وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنْثِ الْعَظِيمِ

আরবি উচ্চারণঃ অকা-নূ ইয়ুর্ছিরূ-না ‘আলাল্ হিন্ছিল্ ‘আজীম্।

বাংলা অনুবাদঃ আর তারা জঘন্য পাপে লেগে থাকত।

(৪৭)

আরবীঃ وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ

আরবি উচ্চারণঃ অ কা-নূ ইয়াকু লূনা আইযা-মিত্না-অকুন্না-তুরা-বাঁও অই’জোয়া-মান্ য়াইন্না-লামাব্ঊছূনা।

বাংলা অনুবাদঃ আর তারা বলত, ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?’

(৪৮)

আরবীঃ أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আ ওয়া আ-বা-য়ু নাল্ আওয়ালূন্।

বাংলা অনুবাদঃ ‘আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষরাও?’

(৪৯)

আরবীঃ قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ

আরবি উচ্চারণঃ কুল্ ইন্নাল্ আউয়্যালীনা অল্আ-খিরীনা

বাংলা অনুবাদঃ বল, ‘নিশ্চয় পূর্ববর্তীরা ও পরবর্তীরা,

(৫০)

আরবীঃ لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ

আরবি উচ্চারণঃ লামাজ্ব্ মূ‘ঊ না ইলা-মীক্ব-তি ইয়াওমিম্ মা’লূম্।

বাংলা অনুবাদঃ এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই একত্র হবে’।

(৫১)

আরবীঃ ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ

আরবি উচ্চারণঃ ছুম্মা ইন্নাকুম্ আইয়ুহাদ্দোয়া-ল্লূনাল্ মুকায্যিবূন।

বাংলা অনুবাদঃ তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা,

(৫২)

আরবীঃ لَآكِلُونَ مِنْ شَجَرٍ مِنْ زَقُّومٍ

আরবি উচ্চারণঃ লাআ-কিলূনা মিন্ শাজ্বারিম্ মিন্ যাককুমিন্

বাংলা অনুবাদঃ তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে,

(৫৩)

আরবীঃ فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ

আরবি উচ্চারণঃ ফামা-লিয়ূনা মিন্হাল্ বুতুন্ ।

বাংলা অনুবাদঃ অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে।

(৫৪)

আরবীঃ فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ

আরবি উচ্চারণঃ ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল্ হামীম্।

বাংলা অনুবাদঃ তদুপরি পান করবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি।

(৫৫)

আরবীঃ فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ

আরবি উচ্চারণঃ ফাশা-রিবূনা র্শুবাল্ হীম্।

বাংলা অনুবাদঃ অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায়।

(৫৬)

আরবীঃ هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ

আরবি উচ্চারণঃ হা-যা-নুযুলুহুম্ ইয়াওমাদ্দীন্।

বাংলা অনুবাদঃ প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী,

(৫৭)

আরবীঃ نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ

আরবি উচ্চারণঃ নাহ্নু খলাকনা-কুম্ ফালাওলা তুছোয়াদ্দিক্বূন্।

বাংলা অনুবাদঃ আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না?

(৫৮)

আরবীঃ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تُمْنُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আফারায়াইতুম্ মা তুম্নূন্।

বাংলা অনুবাদঃ তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীযর্পাত করছ সে সম্পর্কে?

(৫৯)

আরবীঃ أَأَنْتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আআন্তুম্ তাখ্লুকু নাহূ য় আম্ নাহ্নুল ‘খ-লিকুন্ ।

বাংলা অনুবাদঃ তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা?

(৬০)

আরবীঃ نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ

আরবি উচ্চারণঃ নাহ্নু ক্বার্দ্দানা-বাইনাকুমুল্ মাওতা অমা-নাহ্নু বিমাস্বূক্বীন।

বাংলা অনুবাদঃ আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না,

(৬১)

আরবীঃ عَلَى أَنْ نُبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنْشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ

আরবি উচ্চারণঃ ‘আলা য় আন্ নুবাদ্দিলা আম্ছা-লাকুম্ অনুন্শিয়াকুম্ আম্ছা-লাকুম্ অনুন্শিয়াকুম্ ফীমা-লা-তা’লামূন্।

বাংলা অনুবাদঃ তোমাদের স্থানে তোমাদের বিকল্প আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না।

(৬২)

আরবীঃ وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ

আরবি উচ্চারণঃ অলাক্বদ্ ‘আলিম্তুমুন্ নাশ্য়াতাল্ ঊলা-ফালাওলা- তাযাক্কারূন্।

বাংলা অনুবাদঃ আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না?

(৬৩)

আরবীঃ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَحْرُثُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আফারায়াইতুম্ মা-তাহারুছূন্।

বাংলা অনুবাদঃ তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে,

(৬৪)

আরবীঃ أَأَنْتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আআন্তুম্ তায্রঊ’নাহূ য় আম্ নাহ্নুয্ যা-রিঊ’ন্।

বাংলা অনুবাদঃ তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি?

(৬৫)

আরবীঃ لَوْ نَشَاءُ لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ

আরবি উচ্চারণঃ লাও নাশা-য়ু লাজ্বা‘আল্না-হু হুত্বোয়া-মান্ ফাজোয়াল্তুম্ তাফাক্কাহূন্।

বাংলা অনুবাদঃ আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে-

(৬৬)

আরবীঃ إِنَّا لَمُغْرَمُونَ

আরবি উচ্চারণঃ ইন্না-লামুগ্রমূন্।

বাংলা অনুবাদঃ (এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’।

(৬৭)

আরবীঃ بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ

আরবি উচ্চারণঃ বাল্ নাহ্নু মাহ্রূমূন্।

বাংলা অনুবাদঃ ‘বরং আমরা মাহরূম হয়েছি’।

(৬৮)

আরবীঃ أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاءَ الَّذِي تَشْرَبُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আফারয়াইতুমুল্ মা-য়াল্ লাযী তাশ্রবূন্।

বাংলা অনুবাদঃ তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল।

(৬৯)

আরবীঃ أَأَنْتُمْ أَنْزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আআন্তুম্ আন্ যাল্তুমূহু মিনাল্ মুয্নি আম্ নাহ্নুল্ মুন্যিলূন্।

বাংলা অনুবাদঃ বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বষর্ণ কর, না আমি বৃষ্টি বষর্ণ কারী?

(৭০)

আরবীঃ لَوْ نَشَاءُ جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ

আরবি উচ্চারণঃ লাও নাশা-য়ু জ্বা‘আল্না-হু উজ্বা-জ্বান্ ফালাওলা- তাশ্কুরূ ন্।

বাংলা অনুবাদঃ ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না?

(৭১)

আরবীঃ أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আফারয়াইতুমু ন্না-র ল্লাতী তূরূন্।

বাংলা অনুবাদঃ তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল,

(৭২)

আরবীঃ أَأَنْتُمْ أَنْشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنْشِئُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আ-আন্তুম্ আন্শাতুম্ শাজ্বারতাহা য় আম্ নাহ্নুল্ মুন্শিয়ূন্।

বাংলা অনুবাদঃ তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি?

(৭৩)

আরবীঃ نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِلْمُقْوِينَ

আরবি উচ্চারণঃ নাহ্নু জ্বা‘আল্না-হা তায্কিরতাঁও অমাতা-‘আল্ লিল্মুকওয়ীন্।

বাংলা অনুবাদঃ একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু

(৭৪)

আরবীঃ فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ

আরবি উচ্চারণঃ ফাসাব্বিহ্ বিস্মি রব্বিকাল্ ‘আজীম্।

বাংলা অনুবাদঃ অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।

(৭৫)

আরবীঃ فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ

আরবি উচ্চারণঃ ফালা য় উক্বসিমু বিমাওয়া-ক্বি‘ইন্ নুজুমি।

বাংলা অনুবাদঃ সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের,

(৭৬)

আরবীঃ وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ

আরবি উচ্চারণঃ অইন্নাহূ লাক্বাসামু ল্লাও তা’লামূনা ‘আজীম।

বাংলা অনুবাদঃ আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে,

(৭৭)

আরবীঃ إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ

আরবি উচ্চারণঃ ইন্নাহূ লা কুর আ-নুন্ কারীমুন্।

বাংলা অনুবাদঃ নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন,

(৭৮)

আরবীঃ فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ

আরবি উচ্চারণঃ ফী কিতা-বিম্ মাক্নূনিল্।

বাংলা অনুবাদঃ যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে,

(৭৯)

আরবীঃ لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ

আরবি উচ্চারণঃ লা ইয়া স্সুহূ য় ইল্লাল্ মুত্বোয়াহ্ হারূন্।

বাংলা অনুবাদঃ কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া।

(৮০)

আরবীঃ تَنْزِيلٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ

আরবি উচ্চারণঃ তান্যীলুম্ র্মি রব্বিল্ ‘আ-লামী ন্।

বাংলা অনুবাদঃ তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত।

(৮১)

আরবীঃ أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْتُمْ مُدْهِنُونَ

আরবি উচ্চারণঃ আফাবিহা-যাল্ হাদীছি আন্তুম্ মুদ্হিনূনা।

বাংলা অনুবাদঃ তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ?

(৮২)

আরবীঃ وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ

আরবি উচ্চারণঃ অতাজ্ব ‘আলূনা রিয্ক্বকুম্ আন্নাকুম্ তুকায্যিবূন্।

বাংলা অনুবাদঃ আর তোমরা তোমাদের রিয্ক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে।

(৮৩)

আরবীঃ فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ

আরবি উচ্চারণঃ ফালাওলা য় ইযা-বালাগতিল্ হুল্ক্বুম্।

বাংলা অনুবাদঃ সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়?

(৮৪)

আরবীঃ وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ

আরবি উচ্চারণঃ অআন্তুম্ হীনায়িযিন্ তান্জুরূনা।

বাংলা অনুবাদঃ আর তখন তোমরা কেবল চেয়ে থাক।

(৮৫)

আরবীঃ وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ

আরবি উচ্চারণঃ অনাহ্নু আকরাবু ইলাইহি মিন্কুম্ অলা-কিল্লা-তুব্ছিরূন্।

বাংলা অনুবাদঃ আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না।

(৮৬)

আরবীঃ فَلَوْلَا إِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ

আরবি উচ্চারণঃ ফালাওলা য় ইন্ কুন্তুম্ গইর মাদীনীন।

বাংলা অনুবাদঃ তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন

(৮৭)

আরবীঃ تَرْجِعُونَهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ

আরবি উচ্চারণঃ র্তাজ্বি‘ঊনাহা য় ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্।

বাংলা অনুবাদঃ ফিরিয়ে আনছ না রূহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?

(৮৮)

আরবীঃ فَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ

আরবি উচ্চারণঃ ফা আম্মা য় ইন্ কা-না মিনাল্ মুর্ক্বারবীন।

বাংলা অনুবাদঃ অতঃপর সে যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়,

(৮৯)

আরবীঃ فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ

আরবি উচ্চারণঃ ফারওহুঁও অরইহা-নুঁও অজ্বান্নাতু না‘ঈম্।

বাংলা অনুবাদঃ তবে তার জন্য থাকবে বিশ্রাম, উত্তম জীবনোপকরণ ও সুখময় জান্নাত।

(৯০)

আরবীঃ وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ

আরবি উচ্চারণঃ অ আম্মা য় ইন্ কা-না মিন্ আছ্হা-বিল্ ইয়ামীন।

বাংলা অনুবাদঃ আর সে যদি হয় ডানদিকের একজন,

(৯১)

আরবীঃ فَسَلَامٌ لَكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ

আরবি উচ্চারণঃ ফাসালা-মুল্ লাকা মিন্ আছহা-বিল্ ইয়ামীন্।

বাংলা অনুবাদঃ তবে (তাকে বলা হবে), ‘তোমাকে সালাম, যেহেতু তুমি ডানদিকের একজন’।

(৯২)

আরবীঃ وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ

আরবি উচ্চারণঃ অ আম্মা য় ইন্ কা-না মিনাল্ মুকায্যিবীনাদ্ব্ দ্বোয়া-ল্লীন।

বাংলা অনুবাদঃ আর সে যদি হয় অস্বীকারকারী ও পথভ্রষ্ট,

(৯৩)

আরবীঃ فَنُزُلٌ مِنْ حَمِيمٍ

আরবি উচ্চারণঃ ফা নুযুলুম্ মিন্ হামীমিঁও।

বাংলা অনুবাদঃ তবে তার মেহমানদারী হবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি দিয়ে,

(৯৪)

আরবীঃ وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ

আরবি উচ্চারণঃ অ তাছ্লিয়াতু জ্বাহীম্।

বাংলা অনুবাদঃ আর জ্বলন্ত আগুনে প্রজ্জ্বলনে।

(৯৫)

আরবীঃ إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ

আরবি উচ্চারণঃ ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাককুল্ ইয়াক্বীন্।

বাংলা অনুবাদঃ নিশ্চয় এটি অবধারিত সত্য।

(৯৬)

আরবীঃ فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ

আরবি উচ্চারণঃ ফাসাব্বিহ্ বিস্মি রব্বিকাল্ ‘আজীম্।

বাংলা অনুবাদঃ অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।

অভাব দূর করার সেরা ইসলামিক উপায়

আপনি যদি আপনার সংসারের অভাব চিরতরে দূর করতে চান তাহলে হাতে গোনা সাতটি আমল যথেষ্ট। ইনশাল্লাহ মহান আল্লাহ তা’আলা আপনার সংসারের উপর রহমত বর্ষণ করবেন এবং সকল ধরনের অভাব দূর হয়ে যাবে আপনার পরিবার থেকে। তাই সংসারের অভাব দূর করার জন্য যা যা করবেন—

প্রথমত: তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল অর্থাৎ আল্লাহর উপর ভরসা রাখবেন এবং আল্লাহকে ভয় করবেন।

দ্বিতীয়ত: বেশি বেশি তওবা করবেন।

তৃতীয়ত: সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবেন যা আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি।

চতুর্থত: আল্লাহতালার রাস্তায় ব্যয় করবেন।

পঞ্চমত: নিকট-আত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবেন।

ষষ্ঠমত: নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবেন মহান আল্লাহতালার নামে।

সপ্তমত: পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। কেননা সংসারের নতুন যে কেউ যুক্ত হলে মহান আল্লাহতালা তার রিযিকসহ তাকে পাঠান এবং তারা অভাবে হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাব মুক্ত করে দেন সুবহানআল্লাহ।

মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রত্যেককে সঠিক বুঝ দান করুন এবং সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন আমিন।

Google News