শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করি আমরা অনেকেই। কিন্তু সমস্যা হল ভালো কোন উৎস থেকে শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক খুঁজে ডাউনলোড করা আমাদের জন্য মুশকিল হয়ে পড়ে। সেই ব্যাপারটা মাথায় রেখে আজকে আমরা আপনাদের জন্য শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক ডাউনলোড করার জন্য এই লেখাটি নিয়ে এসেছি। আরও দেখুনঃ মেয়েদের ছবি | মেয়েদের পিকচার ছবি
শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 32](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-32.png)
শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক কিভাবে ডাউনলোড করবেন
আমরা আমাদের এই লেখায় প্রচুর পরিমাণে শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক যোগ করেছি যা আপনার জন্য যথেষ্ট। তবে মাথায় রাখতে হবে যে এই শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিকগুলো কিন্তু আপনি সবসময় বাস্তব শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিকের সাথে তুলনা করতে পারবেন না। ছবি ডাউনলোড করতে প্রথমে যে কোন একটি ছবির উপরে চেপে ধরে রাখুন তারপর সেখান থেকে ডাউনলোড অপশন পাবেন। ডাউনলোড অপশনে চাপ দিলেই শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক ডাউনলোড হয়ে যাবে। আরও দেখুনঃ হাত কাটা পিক | ছেলে ও মেয়েদের হাত কাটা রক্তের ছবি ও পিকচার | Hat Katar Pic
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 7](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-7.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 8](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-8.jpeg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 8](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-8.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 18](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-18.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 19](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-19.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 20](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-20.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 21](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-21.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 22](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-22.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 23](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-23.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 24](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-24.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 25](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-25.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 26](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-26.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 29](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-29.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 30](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-30.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 31](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-31.png)
কতগুলো ছবি ডাউনলোড করতে পারবেন
এই পেজে থাকা অবস্থায় আপনার যত ইচ্ছা ততগুলো শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক ডাউনলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণে ইন্টারনেট ব্যালেন্স থাকতে হবে অথবা ওয়াইফাই কানেকশন থাকতে হবে। আপনি চাইলে এক ক্লিকে সবগুলো শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে সেজন্য আপনাকে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। আরও দেখুনঃ সেরা ফুলের ছবি | ফুলের ছবি ও পিকচার ডাউনলোড
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-1.jpeg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 1](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-1.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 1](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-1.jpg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 2](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-2.jpeg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 2](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-2.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 2](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-2.jpg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 3](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-3.jpeg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 3](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-3.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 4](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-4.jpeg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 4](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-4.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 5](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-5.jpeg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 5](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-5.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 6](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-6.jpeg)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 6](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-6.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 7](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-7.jpeg)
এক ক্লিকে কিভাবে শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক ডাউনলোড করবেন
এক ক্লিকের মাধ্যমে এই পাতায় থাকা সকল শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক ডাউনলোড করতে হলে আপনাকে এক্সটেনশন ব্যবহার করতে হবে। ইন্টারনেটে অনেক এক্সটেনশন পাওয়া যায় যেগুলো আপনার ব্রাউজারে এড করে নিয়ে এক ক্লিকের মাধ্যমে এই পাতায় থাকা সকল ছবি আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যেই। আরও দেখুনঃ আল্লাহ পিকচার | আল্লাহর নামের ছবি ডাউনলোড | Allah Wallpaper
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 51](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-51.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 52](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-52.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 53](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-53.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 54](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-54.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 55](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-55.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 56](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-56.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 57](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-57.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 58](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-58.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 59](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-59.png)
এই ছবিগুলো কি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন
প্রথমে বলে রাখা ভালো যে এ সকল ছবিগুলো আপনি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবেন তবে কপিরাইটের সমস্যা আসতে পারে। সুতরাং যদি আপনি এই ছবিগুলো কোথাও ব্যবহার করতে চান তবে অবশ্যই সেখানে আমাদের ওয়েবসাইটের লিংক রেফারেন্স হিসেবে দিয়ে দেবেন। এতে করে আপনার কপিরাইট এর ক্লেইম খাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে। আরও দেখুনঃ পুতুলের পিকচার | Doll Pic
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 41](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-41.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 42](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-42.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 43](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-43.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 44](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-44.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 45](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-45.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 46](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-46.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 47](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-47.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 48](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-48.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 49](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-49.png)
আমি কেন এত কথা বলছি
এতক্ষণ আপনাদের সাথে এত কিছু আমি এ কারণে শেয়ার করলাম যাতে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে সকল প্রকার তথ্য নিয়ে আপনারা কিভাবে ব্যবহার করবেন তার সম্পর্কে একটা সঠিক ধারনা দিতে পারি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে এতক্ষণ কেন আপনাদের সাথে এত কথা বললাম।
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 32](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-32.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 33](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-33.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 34](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-34.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 35](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-35.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 36](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-36.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 37](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-37.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 38](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-38.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 39](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-39.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 40](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-40.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 50](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-50.png)
শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক, কালো শাড়ি পরা প্রোফাইল পিক, সাদা শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক, মেয়েদের শাড়ি পরা প্রোফাইল পিক, শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক ক্যাপশন, শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিকের ক্যাপশন, শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক hd, শাড়ি পরা মেয়েদের প্রোফাইল পিকচার, শাড়ি পড়া পিক।
শেষ কথা
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্যাপারে লেখালেখি করে থাকি। তবে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত কোন তথ্য কিংবা ছবি নিয়ে কোন দুর্ঘটনা অথবা কোন অনৈতিক কাজে ব্যবহার করলে সেই দায়-দায়িত্ব কিন্তু আমাদের নয়। সে ব্যাপারে ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে। এখানে আমরা তথ্যগুলো দিয়েছি শুধুমাত্র ব্যবহারকারীদের সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে। এখানে শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিকসহ সকল প্রকার ছবি স্ট্যাটাস ডিজাইন ক্যাপশন ভালোবাসার এস এম এস ছন্দ গান ইত্যাদি আপনি পেয়ে থাকবেন। সহজেই খুঁজে পেতে আমাদের এই পেজটি শেয়ার করে রাখতে পারেন। যদি কোন কিছু প্রয়োজন হয় অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 9](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-9.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 10](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-10.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 11](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-11.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 12](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-12.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 13](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-13.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 14](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-14.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 15](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-15.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 16](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-16.png)
![শাড়ি পড়া প্রোফাইল পিক 17](https://totthadi.com/wp-content/uploads/2022/10/শাড়ি-পড়া-প্রোফাইল-পিক-17.png)
গভীরতর ভালবাসা
………………………
আমি কত করে বলছি আমি শাড়ী পরব না। আমি কখনও শাড়ী পরি নাই। আর শাড়ী পড়লে হাটতে পারব না।
তবুও ভাবী বলল সবাই যখন পরছে, তাই আমাকেও পরতে হবে।
কি আর করার, আজ আবার খালাতো বোন এর বিয়ে। সেই ছোট বেলায় খালা বাড়ি আসছিলাম তারপর আর আশা হয় নাই।
সব কিছুই পাল্টে গেছে, আগের মত নেই।
কাচা বাড়ি পাকা হইছে। বড় খালাও আর আগের মত খারাপ ব্যবহার করে না। এখন সবাই ভালবাসে অনেক দিন পর আসাতে এমন আদর। ঘন ঘন আসলে দেখা যাইত কে কি রকম।
আর কাল আবার সেই ছোট রিবার বিয়ে।
এই রিবাকে কত কোলে নিছি, কান্না করলে কোলে নিয়ে আদর করতাম। আর কিছু দিন পর ও কার কান্না থামাবে এইটাই হয়ত নিয়ম।
রিবার কাছে গিয়ে বললাম, তোর কি আর পড়তে ইচ্ছা করে না ?? আর এই বিয়েতে মত আছে তোর ?
উত্তরে বলল আব্বায় যেইডা কইবে হেইডাই হইবে।
আমি আবার কি কমু,
কি বলব বুঝতে পারছি না।
এইটাই হয়ত আমাদের সমাজ।
ও ভালো কথা আমি আফরিন দেখতে মাসাল্লাহ খারাপ না। আমি বলি নাই সবাই ই বলে। যদিও অামি দেখতে একটু কালো, বাবার নাকি আদরের মেয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যের জোরে হইলাম না। যাক সে কথা আজ রিবার গায়ে হলুদ ছোট ছোট মেয়েরা হলুদ শাড়ী পরছে। একদম হলুদ পরীর মত লাগছে, এখন আবার আমারও শাড়ী পরতে হইছে।
আজ আমি শাড়ী পরছি, কাল পাইর আর জমিনে কমলা।
আজ অনেক দিন পর আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছি। আয়নায় নিজেকে দেখলে মায়ের খুনী মনে হয়। তাই তেমন একটা আয়না দেখা হয় না।
বাহ !!
আমি তো দেখতে মাসাল্লাহ অনেক সুন্দর হইছি, মামনিকে বলতে হবে।
,,
এক তো নতুন পরিবেশ কেউকে ভালো করে চিনি না। আর ভাবী যে কি কাজ করে আল্লাহই যানে।
এইখানে আমার একজনের সাথে ভাব হইছে, সে হল ভাবী।
একা একা কতক্ষন থাকা যায়। ফেইসবুকে ঢুকলাম, কত দিন হইছে ফেইসবুকে ঢুকি নাই।
উফফ!! আল্লাহ এইখানে নেট এত্ত প্রবলেম করে কেন ???
হটাৎ কে যেন আফরু বলে ডাক দিল। অনেকটা জোরেই আর আফরু ??
এই নামেতো ভুতুম ডাকে। পিছনে তাকাতেই শরীর ঠান্ডা হতে লাগল। ছাদমান ভাই যে…
আল্লাহ এই ভাইয়া কোথা থেকে আসলো ????
ছাদমান ভাই আমার একমাত্র মামার একমাত্র ভদ্র ছেলে, উনি খুবই শান্ত। আমি যখন এস এস সি পরীক্ষা দিছি তখন ছাদমান ভাই তখন বি বি এ শেষ। আমি মামা বাড়ি থেকে এইচ এস সি পরিক্ষা দিছি। মামার কাছেই বড় হইছি, মা মারা যাওয়ার পর সবাই যখন আমাকে নিয়া সংসয় ছিল, আর অলুক্ষনে বলে বাবা যখন মুখ ফিরিয়ে নিছিল। তখন মামা মামী নিজের মত করে বড় করছে। আর এই মামাকে কষ্ট দিয়ে বাবার সাথে পালিয়ে গেছিল মা। আর এখন তারাই আমাকে মেয়ের মত করে বড় করছে। বাবার সব দায়িত্ব পালন করে মামা,
কি অদ্ভুদ না ??
মামা ঠিকই বাবার দায়িত্ব পালন করছে কিন্তু বাবা বলে ডাকতে পারি নাই। আর মামী মানে আমার মামনি যে আমার মায়ের চাহিদা পূরন করছে। এদের সাথেই আমার জীবন, সব মজার আর সব চেয়ে কষ্টের দিন গুলো ছিলো। তাদের এক মাত্র ছেলে মানে ভুতুম,
ওই বদজাত ছেলেটা ছিল আমার এক চিরশত্রু।
আমার কথা মেয়ে মানুষের এত পইরা কি হবে, সেইতো রান্না আর সংসার সামলাইতেই হবে।
তাইলে এত পড়ার দরকার কি ??
আর তখন সে রাগী রাগী একটা লুক নিয়ে তাকাইত আর বলত, কানে ধর বলছি, আর এক পায়ে দাড়িয়ে থাকতে হবে।
ঠিক এই জন্যই তাকে আমি ভুতুম বইলা ডাকি।
আমি কখনই ভালো ছাত্রী ছিলাম না। এক কথায় ছিলাম পড়া চোর।
রাতে যখন পড়তে পড়তে ঘুম চলে আসত, তখন এক পায়ে দাড়িয়ে পরতে হইত। খুব ভয় পাই তাকে, তার চোখের দিকে তাকাইতে সাহস পাই না। আমার ছিল দুইটা রুপ। ছাদমান ভাইয়ের সামনে ভদ্র মেয়ে আর সবার সামনে দুষ্ট।
যদিও বুঝত যে আমি তার সামনে ভাল মেয়ে হওয়ার অভিনয় করি।
ডাক দিয়ে বলত,
– জানিস আফরু একটা কথা সত্যি যে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।
– আচ্ছা তাইলে কয়লা ধোয়ার কি দরকার ??
– কি বললি ??
– বলছি কয়লা ধোয়ার কি…….
– ওই চুপ করবি ??? তুই কি কখনও মানুষ হবি না ??
– আমি তো মানুষই (আস্তে আস্তে)
– এই যা পড়তে বস গিয়া মেজাজ খারাপ করবি না..
– এই শুরু হইছে পড়া আর পড়া।
তবে আমার ভাল রেজাল্ট করার পিছনে ভুতুমের অবদান অনেক।
যেদিন এইচ এস সি রেজাল্ট দিবে, খুব টেনশনে ছিলাম। ভুতুম আমার হাতটা খুব শক্ত করে ধরে ছিল।
ভয়ে মাঠে দাড়িয়ে ছিলাম, ভুতুমটা গম্ভীর একটা লুক নিয়া বলল এই নে তোর সামনে এগিয়ে যাওয়ার চাবি-কাঠি। এখন থেকে তোকে যেন কেউ অলুক্ষনে না বলতে পারে।
কলেজে সবার সামনে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছিলাম।
– হুম শেষ বারের মত কান্না আর আর যেন কাঁদতে না দেখি।
**
এইবার পালা আসল আমার, এই বুজি কপাল আমার খুলছে।
অনেক কষ্টে ভুতুমটার হাত থেকে বাঁচতে পারব। বাসা থেকে তেমন দুরে না কলেজটা, তবুও হোষ্টেলে থাকার অনুমতি পাই বহু কষ্টে।
কিন্তু ওতোটা পাকা কপাল আমার না, প্রথম সেমিষ্টার রেজাল্ট খারাপ হওয়াতে ভুতুমটা আবার বাসায় নিয়া আসল।
আল্লাহ এই ভুতুমটার হাত থেকে কি কখনও মুক্তি পামু না ??
ভুতুমটা যখন অফিসে থাকে তখন কত ভাল থাকি।
আচ্ছা এই রিমি যে কি দেইখা এই পোলারে পছন্দ করে আল্লাহই জানে। দেখতে সুর্দশন হলে কি হবে, হাসি বলতে ছিটে ফোটাও নাই।
মনে হয় প্রেম ট্রেম করে, এই তো সেই দিন, যখন কলেজে দেড়ি হচ্ছে বলে আমাকে যেন পৌছে দেয়। রুমে ঢুকে দেখি আয়নার সামনে নিজেকে বার বার দেখছে ভুতুম।
প্রেমে না পরলে কেউ কি ওই ভাবে আয়না দেখে ??
আহারে এই পোলার লগে যে প্রেম করবে তার কপাল পুড়ছে।
রোমান্টিক মুডে হাত ধরে বসে থাকবে। তখন সে হাতটা ছাড়িয়ে বলবে যাও এখন পড়তে বস। হি হি হি ★★★
– এই আফরিন উনাকে কি আমার কথা বলছিস ?? (রিমি)
– কাকে ??
– ওই যে ছাদমানকে ।
– তোর টা তুই বল আমি পারব না।
– তাইলে আমার সব টাকা ফেরত দে। তুই বলছিলি আমার কথা তার কাছে বলবি। আর এখন বলতে পারবি না কেন ? আমার সব টাকা ফেরত দিবি। ধুর বাবা এখন আমি এত টাকা কই পামু। মাথাটা খুব ব্যাথা করছে। এ কি আমার সাধের ঘরের এ কি হাল হলো ?? মামনি আমার রুমের এরকম অবস্থা কে করল ?? এই রুমে কি গরু ছাগল ছিল ?? রাগ উঠলে আমি যে কি বলি নিজেও জানি না। অনেক কথা বলছি।
এইবার ভুতুমটা আইসা বলল
-রুমে আমি ছিলাম এখন বল কি হইছে ??
– আপনি কেন আমার রুমে ঢুকছেন ??
– তোর রুম মানে, তুই থাকিস বলে তোর হয়ে গেল ?
-……..
– এই কাঁদবি না বলে দিলাম।
– আমি থাকব না আমার বাসায় চলে যাব।
– কই যাবি তুই ??
-……
– আম্মা দেখেন আফরু কি করতেছে।
ভুতুমটা যখন অফিসে গেছে তখন মামনি কে বলে চলে আসছি।
অনেক বার ফোন দিছে ধরি নাই,
ধরব না কিছুতেই।
***********”**’
– এই এরকম হা করে আছিস ক্যান ??
– আআপনি এএই খানে ??
– তোর ফোনটা দে, তোর ফোন ইউজ করা লাগবে না ।
– আরে ছাদমান যে, কখন আসলা ? (ভাবী)
– এই তো মাত্র আসলাম, সবাই ভাল আছে তো ?
– হ্যা তোমরা কথা বল আমি আসছি।
– এই তুই কই যাস ?
– বস এইখানে, তুই এত ফাজিল কেন ??
আর না বইলা আসছস কেন ?
– আমি পানি খামু
– একটা থাপ্পর খাবি বলে দিলাম, আমি জানি তুই পানি খাবি না।
– এইটা আপনার বাসা না যে যা মন চায় তাই বলবেন, আমার খালা বাড়ি।
– তো কি আমারও ফুপু বাড়ি।
– হুম ওই ভাবে তাকাই রইছেন কেন ?
– কিছু না, তুই শাড়ী পরতে পারিস ?
আরে ধুর আর বইলেন না ভাবী জোর করে পরাইছে।
– হুম খারাপ লাগছে না, শাড়ীটায় খুব মানাইছে।
– আমি সুন্দরতো তাই। হি হি
– এই এত কথা বলিস কেন ?? একদম চুপ করে থাকবি।
– হাহ !!
,,
ভুতুমটা আসাতে খুব ভাল লাগছে। এত্তগুলা ছবি তুইলা দিছে।
এইখানে আমার একদম ভাল লাগে নাই।
সবাই আমাকে নিয়া কথা বলে, যারা এই কালের তার বলে ” আহারে মা মরা মাইয়া, আর যারা বুড়ো তারা বলে, মাইয়াডা অওনের সময় মা ডারে খাইছে, কেউবা বলে, ওমা আলেয়ার মাইয়া তো অনেক বড় হইছে।
এই সব কথা একদম ভাল লাগে না। কি আর করার রাগ করে আসাতে এত দিন থাকা।
রাতে গানের আসর জমছে, ভুতুমটা যে কই।
হঠাৎ পিছনে তাকাই দেখি ভুতুমটা আমার পিছনে বইসা রইছে।
– কি গো আফরিন তুমি নাকি গান গাইতে পার ?
একটা গান শুনাও।
ভুতুমটার দিকে তাকাইলাম, ইশারায় বুঝিয়েছে গাইতে।
– ওই গানটা শুনা “” মমো চিত্তে””
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””
বাবা সবাই কি বাহবা দিচ্ছে, আমি কি বেশি ভাল গাইছি নাকি ??
ও মা গো ভুতুমটা ওই ভাবে তাকাই রইল কেন ???
রিবাকে আজ নিয়ে যাবে, বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজান হয়েছে।
সবাই হইচই করছে। আজ আমি কাল রং এর শাড়ী পরছি, কালো চুরি, কালো গলার টা কানের টা সব কালো। কালো রং টা আমার খুব ভাল লাগে।
তবে কালো ছেলে পছন্দ না, যদি কাল ছেলে বিয়ে হয় তাইলে আমার ছেলে, মেয়েও কাল হবে।
আর আমি চাই না আমার পুচকুরা কাল হোক। তাই কিউট একটা ছেলে বিয়ে করব। শাড়ী পরে হাটতে কষ্ট হলেও খারাপ লাগছে না। কেন জানি খুব ভাল লাগছে। সবাই কাজ করতেছে, বর পক্ষের লোকজন এসে পরছে।
আমি যে কার সাথে বসে কথা বলব তার উপায় নেই।
তাই বসে বসে মোবাইল টারে গুতাচ্ছি। এই মোবাইল হল আমার একাকীত্তের সঙ্গী। মোবাইলের যদি হাত থাকত তাইলে এতক্ষনে আমার অবস্থা খারাপ করত। হিহিহি..
– হাই আমি রাসেদ, বসতে পারি ??
– বসেন (মোবাইলের দিকে তাকিয়েই) বললাম
– আপনার নাম কি ?
– আমি আফফ..by tha রাস্তা কে আপনি ?
– রাস্তা মানে.??
– বলুন কি বলতে চাইছেন..?
– বললাম না আমি রাসেদ, বর এর কাজিন।
– ওহ !! আবার মোবাইল টিপায় মনযোগ দিলাম।
– আপনার বাবা কি করেন ??
– মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল, জানি না।
– মানে ???
– এই আফরু তুই এই খানে কি করস ???( ভুতুম)
– কিছু না।
– এই দিকে আয়।
– আমিও ভাল মেয়ের মত গেলাম।
– এইখানে বস।
– কি ওই ভাবে তাকাই রইছেন কেন ?
– কিছু না এই খানে বসে থাকবি কারো সাথে কথা বলবি না।
– আইচ্ছা !!
– আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে।( রাসেদ)
– আপনি আবার এই খানে কেন.??
-এমনি শাড়ীতে খুব মানাইছে।
– এইসব বইলা লাভ নাই।
– কেন আপনার কি বিয়ে হইছে ?? আর এতক্ষন যে ছেলেটার সাথে কথা বলছিলেন সে আপনার কী হয় ? আপনার বর নাকি ?? ( রাসেদ)
– এইবার মেজাজটা খারাপ হইয়া গেছে, একা একাই এত কিছু ভাবছে, হায়রে মানুষ, হ্যা উনি আমার স্বামী হয়। এই বার যান এইখান থেকে।
– এই আফরু তোর প্রবলেম কি ??
– ভাই ভাবীর সাথে পরিচিত হইলাম। ভাবীরে খুব ভালোবাসেন বুঝি? আসলে ভাবীর গালে টোল দেইখাই বুঝতে পারছি। (রাসেদ)
– মানে ??
(ভুতুম)
– এই রে ভুতুম পেচা !!! লোকটা কি বলতেছে এইসব ।
– এই আপনি এত কথা বলছেন কেন যান বলছি।
– কি হইছে রে? তোরে ভাবী বলল কেন ??
– না মানে লোকটা বেশি কথা বলে,
– কি বলছে ???
– না মানে জানতে চাইছিল আপনি আমার কি হন!!
– আর তুই কি বলছস ?
– রাগ লাগছে খুব তাই বলছি আপনি আমার স্বামী হন।
– কি ???
– বিশ্বাস করুন আমি বলতে চাই নাই, মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।
– তুই কি কখন ও সিরিয়াস হবি না ??
– এমন ভাবে তাকাচ্ছেন কেন ?? বললাম তো লোকটা আমার বাবার কথা জানতে চাইছিল, তাইতো রাগ করে বলছি।
– ঠিক আছে যা রেডি হ গিয়া একটু পর আমরাও রওনা দিব।
– কোথায়.????
– কোথায় আবার বাসায় যাওয়া লাগবে না ??
– না আমি যাব না।
– থাপ্পর দিয়া দাত ফালাই দিব।
– আপনার বাড়ি আমি কেন যাব ?
– আচ্ছা সরি এইবার চল দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর শোন শাড়ী পইরাই চল, আর সাজা লাগবে না এমনিতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
– আমি শাড়ী পরে হাটতে পারব না।
– কত টুকুই বা হাটবি সারাক্ষন তো বাসেই থাকবি।
– ঠিক আছে।
– ছাদমান আজ না গেলে হয় না বাবা ( খালু)
– না ফুপা আমার ছুটি শেষ, কাল জয়েন করতে হবে।
– আফরিন কে রাইখা যাও।
– না খালু আমার ও কলেজ খোলা।
– সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দিলাম। গ্রামের রাস্তা অনেকটা হেটে তারপর রিক্সা নিতে হবে।
– ভুতুম পেচা..
– কি..??
– থুক্কু ছাদমান ভাই আপনারে বলছি আমি শাড়ী পরে হাটতে পারি না।
– এখন থেকে চেষ্টা করতে পারস না ?
– কেন..??
– কেন বিয়ের পর তো শাড়ী পরবি।
– না তো শাড়ী আমি পরতে ও পারি না, আর পইরা হাটতে পারি না।
– আরে একটু তারাতারি আয় না বাস চলে যাবে।
– আমি আর হাটতে পারব না।
– উফফ!!! দে হাত দে তোরে নিয়া যে কি হবে। ও ভাইজান আপনার মন মনে হয় আজ খুব ভাল।
– তুই এত কথা কিভাবে বলস রে।
– আপনিও চেষ্টা করতে পারেন..। হিহিহি..
আল্লাহ গো কত যে কষ্ট হইছে, এইবার শান্তি। অবশেষে বাসে উঠতে পারলাম।
– নে ধর এত ভার কেন ?? কী আছে এটার ভিতর ??
– কত্ত কিছু, আমার ক্ষিধা লাগছে।
– এই একটু আগে না খাইলি, আবার খাবি..??
– ঠিক আছে খাব না।
– চুপ থাক, দাড়া দেখি হকার আসে নাকি।
– আমি দাড়াতে পারব না।
– একটা থাপ্পর খাবি সবসময় ফাইজলামি না..??
– এইবার মুখে হাত দিয়ে রাখতে হবে, কখন কি মুখ ফসকে বেরিয়ে যাবে আল্লাহই জানে।
– এই উঠ আমরা চলে আসছি, এত ঘুমাস কিভাবে..?
– আল্লাহ আমি এত ঘুমাছি..যাক বাবা চলে আসলাম তাহলে।
মামনি ও মামনি কই তুমি কত দিন তোমারে দেখি না।
– ফাজিল মেয়ে এতদিন পর মামনির কথা মনে পরল..?
– ও মামনি রাগ কর কেন.?
– এই অনেক হইছে আর বলতে হবে না, এখন থেকে আবার পরতে হবে। ( ভুতুম)
– আল্লাহ তুমি তারে হেদায়েত কর।
অনেক দিন পর আরামছে একটা ঘুম দিলাম।
হটাৎ কান্নার আওয়াজে ঘুম ভাঙল, মা কান্না করে কেন, দৌড়ে কাছে গিয়ে দেখি মামা অসুস্ত হয়ে পরছে।
কি করব এখন, ভুতুম কে বলতে হবে। মোবাইল ও বন্ধ কি করব এখন..?
মামা এখন অনেকটা ভালো, আমি পেরেছি মামাকে হাসপাতাল আনতে।
আজ বাসায় মিটিং বসছে, ভুতুমের বিয়ে দিবে। মামা অসুস্থ হবার পর এই সিন্ধান্ত নিছে,
– আহা !! ভুতুমের বিয়ে কত মজা করব।
– কিন্তু ভুতুম আইসা বলল আগে আমাকে বিয়ে দিবে।
– কিছুতেই আমি বিয়ে করব না।
– তোরে আগে বিয়ে দিবো।
– না না না কিছুতেই আমি এখন বিয়ে করব না।
ঝগড়া দেখে মামা বলল তোরা থামবি..? আমার কথা তো শুনবি ? তোদের একসাথে বিয়ে দিব।
– মানে..??
– মানে আফরিনের আর তোর বিয়ে, তোর মা আর আমি অনেক দিন ধরে ভেবে রেখেছি।
– কি বলছ এসব আমি আফরু কে বিয়ে করতে পারব না।
– আমার কথাই শেষ কথা। ( মামা )
– আমি কি বলব এই প্রথম নিজের ভিতর গম্ভীর একটা ভাব আসল, মামার কথাও না শুনেও উপায় নাই। আমি কি করব বুঝতে পারছি না। নিজেকে বড় বড় লাগছে। কিভাবে যে কি হল বুঝতে পারি নাই।
– আমার আজ বিয়ে, ওই ভুতুমটা যে আমার বর হবে ভাবতেও পারি নাই। ফ্রেন্ডগুলা হাসিঠাট্টা করছে।
– এই ভারী ভারী গহনা পরে বসে আছি, আচ্ছা আমি বসে আছি কার আসায় ?
– ভুতুম তো আর বাচ্চা না যে তাকে ঘুম পারাতে হবে..??
– কিন্তু আমি উঠতে পারছি না কেন.? ভয় ?? নাতো আমি কেউকে ভয় পাই না, অমনি ভুতুমের আগমন!! ঘরে ঢুকে ভুতুমটা বলল, রাত অনেক হইছে এখন ঘুমা।
– ভুতুমটা শুয়ে পরছে, খুব মন খারাপ লাগছে কিন্তু কেন ? সবাই ঘুমাই পরছে আমার ঘুম আসছে না। ছাদে চলে আসলাম, এত কান্না পায় কেন..? সবকিছু নিরব, আকাশে অনেক তারা। শান্ত পরিবেশ, নিঝুম রাত মায়ের কথা খুব মনে পরছে। আকাশে তাকাই থাকতে ইচ্ছা করছে। আচ্ছা মা কি ওই আকাশে তারা হয়ে আছে.??
– মা ও মা তুমি কি দেখত পাচ্ছ আমাকে.?? আজ আমি অনেক বড় হইছি তাই না মা..,?
হটাৎ শীতল কারো হাতের ছোয়া..ঘুরে তাকালাম।
– ও ভুতুম আপনি !!
– কি রে মন খারাপ ??
– আচ্ছা ভুতুম মানুষ মারা গেলে কি ওই আকাশের তারা হয়ে যায় ??
– বাদ দে, এই কথা আর ফুপু যেখানে আল্লাহ যেন তাকে ভাল রাখেন।
আর হ্যা রাত অনেক হইছে এবার নিচে চল।
– ভুতুম এখন কি আপনি আমারে পরতে বলবেন ???
– হা হা হা !!! নারে বোকা মেয়ে চল।
– বাবা ভুতুম এত সুন্দর করে হাটতে পারে ??
সব কিছুই আগের মতই আছে কিন্তু আমি আর আগের মত নেই। ভুতুমটা যখন অফিসে থাকে তখন আর ভাল লাগে না। অপেক্ষায় থাকি কখন সে বাসায় আসবে। কিন্তু ভুতুমটা আগের মতই আছে।
– এই যে ছাদমান ভাই আমার মাথা ব্যাথা করছে।
– মাইর খাবি বলে দিলাম খালি পড়ার ফাকি দেওয়া তাই না ?
এই রে ৮ টা বেজে গেছে ভুতুমটার জন্য নাস্তা বানাতে হবে। মামনি থাকলে হাতে হাতে করে দিত। উঠতে যাব তখনি মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠল, সব কিছু অন্ধকার লাগছে।
শুধু এইটুকু শুনতে পেলাম এই আফরু তোর কি হইছে ?
– ভুতুম আপনি অফিসে যাবেন না, নাস্তা করতে হবে তো।
– এই মেয়ে তোর যে জ্বর আসছে একবারও বলছিস ??
– আপনি অফিসে যাবেন না ?
– না বউ ঘরে অসুস্থ থাকলে অফিসে কি মন বসে। ভুতুম আমাকে বউ বলেছে, আমি কি ঠিক শুনলাম।
– কি এই ভাবে তাকাই আছস কেন ? ৭ দিনের ছুটি নিছি অফিস থেকে। কি রে আমারে কি তোর স্বামি হিসাবে পছন্দ হয় না ??
– হুম
– শুধুই হুম ?
জানিস এত কিছুর মাঝে যে কিভাবে তোকে ভালোবেসে ফেলি বুঝতে পারি নাই। তুই যখন বাসা থেকে চলে গেছিলি, তখন তোকে খুব মিস করতাম। বুঝেছি তোকে ছাড়া আমি অচল। আর তখন তুই আমাকে ভয় পাচ্ছিলি। তাই আমি চাইছিলাম যখন তুই আমাকে ভালবাসবি তখন তোকে বলব। তোর চোখে আমি ভয় না ভালবাসা দেখতে চাইছি। এখন আমি জানি আমার বউটাও এখন আমাকে ভালোবাসে।
কী ঠিক বলছি তো ???
– শয়তান, বান্দর কুত্তা, বিড়াল, ভুতুম পেচা আগে বললে কি হত।
– এই ছাড় বলছি, তোর গায়ে এত জোর ??
– ছাড়ব না বাদর বর আমার।
এই এই এই আমার বান্ধবী রিমির সাথে আপনি মোটেও কথা বলবেন না।
– কেন কি হইছে ??
– নাহ কিছু কথা না জানাই ভাল।