আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি দোয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন।
- স্বপ্নে কোন রঙের সাপ দেখলে কি হয়?
- সাপ স্বপ্নের মধ্যে দেখলেই কি করবেন?
- স্বপ্ন কয় প্রকার?
- নবী (সাঃ) স্বপ্ন সম্পর্কে কি বলেছেন?
- খারাপ স্বপ্ন দেখার কারন কি?
- গর্ভবতী অবস্থায় স্বপ্নে সাপ দেখলে কি হয়?
বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন, বন্ধুরা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, এই পোস্ট টিতে রয়েছে প্রতিটি মুসলমানের জন্য শিক্ষা, আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো পুরো পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য , তো চলুন শুরু করা যাক।
সাপ স্বপ্ন দেখার অনেক তাবির রয়েছে, তাই আজ বলবো যে প্রাণীটি বাস্তবে দেখলেই সকলেই ভয় পায়, অধিকাংশ মানুষ এই প্রাণীটি স্বপ্নে দেখে আর প্রাণীটির নাম হলো সাপ আর এর তাবিও অনেক রকম রয়েছে, তবে এর মূল যে তাবির তা কখনও ভাল হয় না। মুয়াব্বির বা ব্যাখ্যাকারগণ স্বপ্নে সাপ দেখার তাবির ভালো নয় বলে উল্লেখ করেছেন। সাপ দুশমন এর আলামত এর আরেকটি তাবির হল প্রতিবেশী আপনাকে হিংসে করবে, যদি কেউ স্বপ্নে সাপ দেখে ফেলে তাহলে তার উচিত আল্লাহর দরবারে দুশমন থেকে হেফাজতের দোয়া করা এবং কিছু সাদকাহ এবং খয়রাত করা উচিত।
কিছু সাপ থাকে শুকনাতে , আর কিছু সাপ থাকে পানিতে যদি কেউ পানির সাপ স্বপ্নে দেখে তার ব্যাখ্যা হল এর দ্বারা কোন জালিম জবরদখলকারী সাহায্য বোঝাই। কেউ যদি স্বপ্নে নিজেকে সাপের মালিক দেখে তাহলে সেই ব্যক্তি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেই রাজত্ব পাবে, আর কেউ যদি উড়ন্ত সাপ স্বপ্নে দেখে তার তাবীর হলো সে ব্যক্তি সফরে বের হবে, আর যদি তার ঘরের কেউ সফরে বের হবার ইরাদা করে তাহলে সে খুব তাড়াতাড়ি সফরে বের হবে। কেউ যদি স্বপ্নে সাপকে মারতে দেখে সে টার ব্যাখ্যা হল দুশমন এর উপর জয়ী লাভ করবে দুশমনকে ঘায়েল করবে।
আর যদি দেখে কোন সাপকে মাঝখানে মেরে দু’টুকরো করে দিলো এর তাবির হলো সে ব্যক্তি ন্যায় বিচার করবে। কালো সাপ স্বপ্নে দেখার অর্থ হলো বেশি ক্ষতিকারক দুশমন আর কোনো কোনো ব্যাখ্যা কারিগরীগন সবচেয়ে শক্তিশালী চৌকিদার হিসেবে বর্ণনা করেছেন , যে চকিদার আপনাকে হেফাযত করবে , শাদা রঙের শপ্ন দেখার অর্থ হলো দুশমন দুর্বল। আর হলুদ রঙের সাপ স্বপ্নে দেখার অর্থ হলো সে অল্প দিনের মধ্যে কোন রোগে আক্রান্ত হবে। তবে মোয়াবির বা ব্যাখ্যাকারীগণ ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা কুরআন-হাদিসে বিশ্লেষণ করেই এই ব্যাখ্যাগুলো দিয়েছেন।
স্বপ্ন কত প্রকার?
তবে এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন আমাদের ইসলাম ধর্ম মতে স্বপ্ন তিন প্রকার হয়ে থাকে, হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেছেন স্বপ্ন তিন প্রকার। রুইয়ায়ে সালেহা তথা ভালো স্বপ্ন , আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে কোনো সুসংবাদ হিসেবে যা বিবেচ্য।
আর দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে রুইয়ায়ে শাইতানি অর্থাৎ শয়তান কর্তৃক প্ররোচনামূলক প্রদর্শিত স্বপ্ন।
আর তিন নম্বরে হচ্ছে রুইয়ায়ে নাফসানি তথা মানুষের চিন্তা চেতনার কল্পচিত্র।
এরপর রাসুল সাঃ বলেছেন যদি কেউ অপছন্দনীয় তথা ভয় বা খারাপ কোন স্বপ্ন দ্যাখে তাহলে সে যেন তাড়াতাড়ি অজু করে নামাজে দাড়িয়ে যায়। এবং দর্ষিত স্বপ্নের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ কাউকে কিছু না বলে, আবু দাউদ শরীফ এসেছে চির সত্যের ধারক মহানবী সাঃ এর বাণীর আলোকে আমরা এই বিশ্বাস স্থাপন করেছে, কিছু ভালো স্বপ্ন আল্লাহ মহান তার প্রিয় ও নেক বান্দাদের দেখান। কিছু স্বপ্ন শয়তানের প্ররোচনায় হয়ে থাকে কিছু স্বপ্ন মানুষের চিন্তা ও ধারণার ফল স্বপ্ন দেখার করণীয় হচ্ছে আবু সাঈদ খুবরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছেন তোমাদের মধ্যে কেউ যদি এমন কোনো স্বপ্ন দেখে যা সে খুব পছন্দ করে তাহলে বুঝে নিবে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে।
তখন সে যেন আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে ও অন্যদের কাছে বর্ণনা করে। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে এ স্বপ্নের কথা শুধু তাকে বলবে যে তাকে ভালবাসে আর যদি স্বপ্নে অপছন্দের হয় তাহলে বুঝে নিবে এটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। তখন সে শয়তানের ক্ষতি থেকে আল্লাহতালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে! আর এই স্বপ্নের কথা কারো কাছে বলবে না, কারণ খারাপ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে, আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। কেউ খারাপ কিছু দেখলে বা-পাশে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে আর শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের নিকট আউযুবিল্লাহি হিমিনার শাইতানির রাজিম তাহলে এই স্বপ্নটা তাকে ক্ষতি করতে পারবে না। আপনি স্বপ্নে সাপ দেখেছেন আরেকটু কোনো সুসংবাদ হতে পারে না বরং এটা শয়তানের কাজ, তাই এই বিষয়ে চিন্তার কারণ নেই আল্লাহ পাকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বোত্তম সাহায্যকারী।
আরো দেখুন: