চোখ ওঠার কারণ ও ঘরোয়া সমাধানঃ চোখ ওঠা, যা কনজাংটিভাইটিস নামেও পরিচিত, একটি সাধারণ চোখের সংক্রমণ যা চোখের ঝিল্লিকে প্রভাবিত করে। এই ঝিল্লিটি চোখের সাদা অংশ এবং পাতাগুলির অভ্যন্তরীণ অংশকে আবৃত করে। চোখ ওঠা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালার্জির কারণে হতে পারে।

চোখ ওঠার কারণ ও ঘরোয়া সমাধান কি

আরও পরুনঃ সাধারণ জ্ঞান

ভাইরাসজনিত কনজাংটিভাইটিস

ভাইরাসজনিত কনজাংটিভাইটিস সবচেয়ে সাধারণ ধরণের চোখ ওঠা। এটি সাধারণত একটি সাধারণ ঠান্ডা বা ফ্লু দ্বারা সৃষ্ট হয়। ভাইরাসজনিত কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • চোখ লাল, ফোলা এবং জ্বালাপোড়া
  • চোখ থেকে পাতলা, জলযুক্ত স্রাব
  • আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা

ব্যাকটেরিয়াজনিত কনজাংটিভাইটিস

ব্যাকটেরিয়াজনিত কনজাংটিভাইটিস ভাইরাসজনিত কনজাংটিভাইটিসের চেয়ে কম সাধারণ। এটি সাধারণত দূষিত হাত বা পরিবেশের সংস্পর্শে আসার কারণে হয়। ব্যাকটেরিয়াজনিত কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • চোখ লাল, ফোলা এবং জ্বালাপোড়া
  • চোখ থেকে ঘন, হলুদ বা সবুজ স্রাব
  • চোখের পাতাগুলিতে ফোঁড়া

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস একটি সাধারণ অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া। এটি সাধারণত ফুলের পরাগ, ধুলাবালি বা প্রাণীর পশমের মতো অ্যালার্জেনগুলির সংস্পর্শে আসার কারণে হয়। অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • চোখ লাল, ফোলা এবং জ্বালাপোড়া
  • চোখ থেকে জলযুক্ত স্রাব
  • চোখের পাতাগুলিতে চুলকানি

চোখ ওঠার ঘরোয়া সমাধান

চোখ ওঠার জন্য বেশ কয়েকটি ঘরোয়া সমাধান রয়েছে। এই সমাধানগুলি লক্ষণগুলিকে প্রশমিত করতে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

  • ঠান্ডা সেঁকঃ ঠান্ডা সেঁক চোখের লালভাব এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি তোয়ালেকে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে নিন এবং চোখের উপর 10-15 মিনিটের জন্য রাখুন।
  • লবণ জলঃ লবণ জল চোখের স্রাব পরিষ্কার করতে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। 1/2 চা চামচ লবণকে 1 কাপ ঠান্ডা জলে মিশিয়ে নিন। এই দ্রবণটি দিয়ে আপনার চোখ ধুয়ে নিন।
  • চাঃ চাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চোখ ওঠার লক্ষণগুলিকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে। একটি টি ব্যাগকে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে নিন এবং চোখের উপর 10-15 মিনিটের জন্য রাখুন।
  • ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলা, লেবু এবং ব্রোকলি খান।
  • ঘুমঃ পর্যাপ্ত ঘুম আপনার শরীরকে সংক্রমণ মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে। প্রতি রাতে 7-8 ঘন্টা ঘুমান।

চিকিৎসা

চোখ ওঠার লক্ষণগুলি গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী হলে, একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার একটি ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিতে পারেন যা সংক্রমণটিকে আরও দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য

Google News