বাজার বিভক্তিকরণ কি: এ সম্পর্কে যে বা যারা জানতে আগ্রহী তাদেরকে আমাদের এই প্রবন্ধের স্বাগতম। সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, বাজার বিভক্তি করুন সম্পর্কে যদি আপনি এ টু জেড জানতে চান তাহলে, আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। কেননা বাজার বিভক্তি করন সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে। আমাদের আলোচনায় থাকছে– আরও দেখুনঃ সাধারন জ্ঞান
- বাজার বিভক্তিকরণ কি?
- বাজার বিভক্তি করন বলতে কী বোঝায়?
- বাজার বিভক্তি করনের স্তর কয়টি এবং সেগুলো কি কি?
- বাজার বিভক্তি করনের অসুবিধা ও সুবিধা সমূহ।
বাজার বিভক্তিকরণ কি?
মোট বাজার কে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভিন্ন অংশে ভাগ করে একই বৈশিষ্ট্যের কতিপয় উপপাজারে পরিণত করাই হল বাজার বিভক্তিকরণ। মূলত সাধারণ অর্থে, দক্ষতার সাথে অধিক বিক্রয় অর্জনের জন্য কোন পণ্যের বাজার তথা বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতা ভক্তদের ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করাকেই ইঙ্গিত করে।
বাজার বিভক্তিকরণ কাকে বলে?
বর্তমান সময়ে খুবই আধুনিক এবং পরিবর্তনশীল। তাই বর্তমানে প্রতিযোগিতার যুগে বিপণন কারী বাজার বিভক্তি করনের মাধ্যমে সঠিক বিপণন কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাজার বিভক্তিকরণ হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বাজারকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভক্ত করা হয়।
সুতরাং বলা যায়– যে প্রক্রিয়ায় বা যার মাধ্যমে একটি বৃহৎ বাজারকে সমজাতীয় বৈশিষ্ট্য ও আচরণের ভিত্তিতে কয়েকটি উপাচারে বিভক্ত করা হয় তাকেই বাজার বিভক্তিকরণ বলে। আপনি যদি বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন তাহলে বুঝতে পারবেন, পণ্যের বাজারে শুধুমাত্র একই ধরনের ভোক্তা কখনোই থাকে না। এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর ভক্তার সমাহার ঘটে অনবরত।
আর সেই ভক্তার শ্রেণীগত পার্থক্য পণ্যের ব্যবহারের উপর পুরোপুরিভাবে প্রভাব বিস্তার করে।
আর তাই বর্তমানে বাজারকে কয়েকটি উপাচারে বিভক্ত করে ভক্তাদের শ্রেণী বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পণ্য বাজারজাতকরণের প্রচেষ্টা চালানো হয়। আর সেই সকল উপ বাজার বা উপবিভাগে বিভক্ত প্রক্রিয়াকে বাজার বিভক্তিকরণ বা বাজার বিভাজন বলে।
আরও দেখুনঃ স্বপ্নের ব্যাখ্যা
বাজার বিভক্তিকরণ এর স্তর কয়টি ও কি কি?
বাজার বিভক্তি করন এর স্তর চারটি। সেগুলো হলো:
- গন বাজারজাতকরণ
- বিভক্ত বাজারজাতকরণ
- ক্ষুদ্র বাজারজাতকরণ
- কোটর বাজারজাতকরণ
বাজার বিভক্ত করনের ভিত্তি সমূহ কি কি?
মূলত চূড়ান্ত পণ্য যারা ভোগ করে তাদেরকে নিয়ে ভোক্তা বাজার গঠিত হয়। আর সেই বাজার কে চারটি ভিত্তির আলোকে বিভক্ত করা হয়। সেগুলো হলো:
- ভৌগলিক বিভক্তিকরণ এর মাধ্যমে।
- জনসংখ্যা বিষয়ক বিভক্তিকরণ এর মাধ্যমে।
- মনস্তাত্ত্বিক বিভক্তিকরণ এর মাধ্যমে।
- আচরণিক বিভক্তিকরণ এর মাধ্যমে।
ভৌগোলিক বিভক্তিকরণ
ভৌগলিক বিভক্ত করনের অন্তর্ভুক্ত অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তু হলো, দেশ, শহর, অঞ্চল, ঘনত্ব এবং জলবায়ু।
জনসংখ্যা বিষয়ক বিভক্তিকরণ
জনসংখ্যা বিষয়ক বিভক্তি করনের অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তু হলো: বয়স, লিঙ্গ, পরিবারের আয়তন, পরিবারের জীবনচক্র, পেশা, , শিক্ষা, ধর্ম এবং প্রজন্ম।
মনস্তাত্ত্বিক বিভক্তিকরণ
মনস্তাত্ত্বিক বিভক্তি করনের অন্তর্ভুক্ত হলো: সামাজিক শ্রেণী, জীবনের ধরন এবং ব্যক্তিত্ব।
আচরণিক বিভক্তিকরণ
আচরণিক বিভক্তি করন এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তু হলো- উপলক্ষ, সুবিধা, ব্যবহারের মর্যাদা, ব্যবহারের হার, প্রস্তুতির স্তর এবং পণ্যের প্রতি মনোভাব।
মূলত স্বাভাবিকভাবে ব্যবসায় বাজার বিভক্তি করনের চলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়,
- ক্রেতাদের ভৌগোলিক অবস্থান
- প্রত্যাশিত সুযোগ সুবিধা
- জনমিতির বৈশিষ্ট্য
- ব্যবহারকারীর মর্যাদা
- পণ্য ব্যবহারের হার
- আনুগত্যের মর্যাদা সহ আরো কিছু বিষয় বস্তু।
বাজার বিভক্তিকরণ এর সুবিধা অসুবিধা
বাজার বিভক্তি করনের উপকারিতা, সুযোগ-সুবিধা অনেক। বলা যায় অসুবিধা নেই বললে চলে। তাই এ পর্যায়ে আমরা বাজার বিভক্তি করন এর সুবিধা কি কি সে সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।
বাজার বিভক্তি করন সুবিধা-
- ভোক্তার চাহিদা ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে সক্ষম হয় বাজার বিভক্তি করন প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে।
- বিপণন কার্যক্রম গ্রহণের সহায়তা প্রদান করে।
- বাজার বিভাগ কি কর প্রক্রিয়াটি অধিক বিক্রয়ে ভূমিকা রাখে।
- সঠিক বাজার এবং ভোক্তা চিহ্নিতকরণ করতে সহায়তা করে।
- চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের সুযোগ পাওয়া যায়।
- বিপণন বাজেটের দক্ষ ব্যবহার হয়
- বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালানো যায় সেইসাথে বাজার সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
আরও দেখুনঃ নামের অর্থ
পরিশেষে: বাজার বিভক্তিকরণ কি এ সম্পর্কিত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি। সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা অবশ্যই আপনাদের মতামত কমেন্ট করে জানাবেন সেইসাথে কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে করবেন। নিয়মিত পোস্টের নোটিফিকেশন পেতে আমাদের ওয়েবসাইট সাবস্ক্রাইব অথবা বুক মার্ক করে রাখবেন। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।
bestc